
৩০ বছরের বেশি সময় ধরে হাওড়া ব্রিজে বা রবীন্দ্র সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। শেষবার ১৯৮৩-১৯৮৮ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই সেতুর। শনিবার মধ্য রাতে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।
১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে শেষবার সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি সেতুটির। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ব্রিজের সেতু পরীক্ষার কাজ শুরু হবে। চলবে রবিবার ভোর সাড়ে ৪টে পর্যন্ত। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়াররা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
ছোট বড়ো মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ গাড়ি এবং ১.৫ লক্ষ পথচারী প্রতিদিন হাওড়া ব্রিজের উপর চলাচল করে। সেতুটি হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন হওয়ায় এবং কলকাতার সাথে আশেপাশের কয়েকটি জেলার মূল সংযোগকারী হওয়ায় সবসময় অতিরিক্ত ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়।
এক আধিকারিক জানান, 'সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার। কারণ দিন দিন সেতুতে যান চলাচল ও মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি এমন একটি আইকনিক নির্মাণ যা শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং সাধারণ মানুষের কল্পনাতে ভেসে ওঠে। হাওড়া ব্রিজ ছাড়া কলকাতাকে কল্পনা করা যায় না। ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাওড়া ব্রিজ চালু করা হয়'।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হবে। স্ট্র্যান্ড রোডের উত্তরমুখী গাড়িগুলি এমজি রোড ও স্ট্র্যান্ড রোডের ক্রসিং থেকে ঘোরানো হবে পোস্তা আর সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে। এছাড়া সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দিকে আসা দক্ষিণমুখী গাড়ি এম জি রোড থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে হাওড়া যেতে পারবে। নিবেদিতা সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে। ব্র্যাবোর্ন রোডের গাড়ি স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ দিয়ে যেতে পারবে। দক্ষিণ কলকাতা এবং পূর্ব কলকাতা থেকে হাওড়া ব্রিজমুখী গাড়ি বিদ্যাসাগর সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়া হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন