

সোমবার রাত অথবা মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই জেলমুক্তি হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সোমবার সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক পার্থর জেল্মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শীঘ্রই প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ থেকে রিলিজ অর্ডার পৌঁছে যাবে হাসপাতালে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই পার্থ চ্যাটার্জির জামিন মঞ্জুর করেছে। এরপর সিবিআই-এর মামলাতেও জামিন পান তিনি। কিন্তু একটি শর্ত ছিল - এসএসসির গ্রুপ সির মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ৮ জন সাক্ষ্যের বয়ান গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেলবন্ড জমা দিতে পারবেন না পার্থ। আজ বিকেলে অষ্টম সাক্ষ্যের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
এরপরই পার্থর আইনজীবীরা বেলবন্ড জমা দেন আদালতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই রিলিজ অর্ডার বেরিয়ে যাবে। মুখ্য বিচারবিভাগীয় আধিকারিকের কাছে সেই নথি পৌঁছোবে। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হবে নথি। সেখান থেকে রিলিজ অর্ডার পাঠানো হবে ওই বেসরকারি হাসপাতালে। সমস্ত প্রক্রিয়া মিটতে মঙ্গলবার সকাল হয়ে জেতেও পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শারীরিক নানা সমস্যার কারণে গত কয়েক মাস ধরেই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পার্থ চ্যাটার্জি। সোমবার সেখান থেকেই ভার্চুয়ালি আদালতের শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন। জেলমুক্তির নির্দেশ শুনে মুখে হাসি দেখা গেছে তাঁর।
২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই প্রাক্তন মন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ নথি ও প্রমাণ উদ্ধার করে ইডি। সেদিনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে মোট নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও। পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকে।
শুধু ইডি নয়, পরে সিবিআই-য়েরও একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ায় পার্থের। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ— সবক্ষেত্রেই অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে তাঁর নাম। গত বছর অক্টোবরে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় তাঁকে ফের গ্রেফতার করে সিবিআই। তবে সব মামলায় ধাপে ধাপে জামিন পেয়েছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন