RG Kar Case: বলা হয়েছিল দ্রুত ময়নাতদন্ত না হলে 'রক্তগঙ্গা' বইবে! বিস্ফোরক দাবি আরজি করের চিকিৎসকের
আরজি কর হাসপাতালের মৃত তরুণী চিকিৎসকের দ্রুত ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করলেন আরজি করের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস। যাঁকে রবিবার সিজিওতে তলব করেছিল সিবিআই।
আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাসকে। কেন সূর্যাস্তের পর ময়নাতদন্ত করা হল এবং ময়নাতদন্তে ঠিক কী কী হয়েছিল তা জানার জন্য সিবিআই আধিকারিকরা জেরা করেন ওই চিকিৎসককে।
সিজিও থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে অপূর্ব বিশ্বাস দাবি করেন, দ্রুত ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। মৃতের কাকা এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে একজন ছিলেন। যিনি বলেছিলেন তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত না হলে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে। ওই প্রাক্তন কাউন্সিলর সম্ভবত নিহত চিকিৎসকের বাড়ির এলাকার লোক।
প্রসঙ্গত, এই অপূর্ব বিশ্বাসও সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। প্রথম থেকেই ময়নাতদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা। ওই চিকিৎসকের মা, বাবা জানিয়েছিলেন, তাঁরা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য দেহ রেখে দেওয়ার দাবি করেছিলেন। কিন্তু কেউ তাঁদের কথা শোনেননি। দ্রুত দেহ আরজি কর থেকে বের করে দাহ করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে অপূর্ব বিশ্বাসের দাবি করা প্রাক্তন কাউন্সিলরের পরিচয় নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স মাধ্যমে তিনি দাবি করেন, "এই প্রাক্তন কাউন্সিলর হলেন সঞ্জীব মুখার্জি। তিনি পানিহাটি পুরসভার সিপিআইএম-র প্রাক্তন কাউন্সিলর। যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। আশ্চর্যের বিষয় এই সঞ্জীব মুখার্জি নিহত চিকিৎসকের আত্মীয় না হয়েও ঘাট সার্টিফিকেটে সই করেছেন। নথিতে সোমনাথ দে নামে আরও একটি নাম বা সই রয়েছে। একই নামে পানিহাটি পৌরসভার আরেক প্রাক্তন টিএমসি কাউন্সিলর রয়েছেন। তিনি কি একই ব্যক্তি?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন