দুর্গাপুজোর আগে শহরের রাস্তা মেরামতিতে মন দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় সেখানেই শহরের খানাখন্দে ভরা রাস্তা এক সপ্তাহের মধ্যে মেরামতি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এদিন বৈঠক শেষে ফিরহাদ জানান, যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে যে সমস্ত বেহাল রাস্তা রয়েছে সেগুলিকে মেরামত করে ফেলতে হবে। তবে যদি আবহওয়া আবার খারাপ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে পুজো মণ্ডপের চারিদিকে যে সমস্ত রাস্তা খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সারাই করতে হবে।
ইতিমধ্যেই ট্রাফিকের কাছ থেকে ১৪৩টি রাস্তার তালিকা পেয়েছে পুরসভা। যার মধ্যে দেখা গিয়েছে ১১০টি রাস্তা রয়েছে পুরসভার আওতাধীন। এই রাস্তা গুলো কে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে তরফের নির্দেশ দিয়ে জানানো হয়েছে আগের মতোই দুর্গাপূজা ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। বড় ক্লাবগুলির পুজোর ক্ষেত্রে ২৫ জন ক্লাব সদস্য মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। ছোট ক্লাবগুলির ক্ষেত্রে মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ১৫ জনকে ছাড় দেওয়া হবে। মণ্ডপে ভিতর ও বাইরে মানতে হবে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ববিধি। বাধ্যতামূলক করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার।
প্রতিটি ক্লাবকেই সদস্যদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতবছরের মতো এবারও নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে মণ্ডপ দর্শন করতে পারবেন দর্শকরা। তবে মণ্ডপের ভিতরে জারি থাকবে ‘নো এন্ট্রি’। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানান, তিনি নিজেও যেহেতু একটি বড় পুজোর উদ্যোক্তা তাই ইতিমধ্যেই নিজের পুজোর চেতলা অগ্রণী খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করছেন।
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরদের দু লক্ষ করে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার দেওয়া হবে যা তাদের এলাকার পুজো মণ্ডপের দর্শনার্থীদের দিতে হবে। পূজামণ্ডপে শারীরিক দূরত্ব বিধি এবং যাবতীয় কোভিদ প্রটোকল মেনে চলার কথা বলেন তিনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।