

শুনানি চলাকালীন 'খেলা হবে' স্লোগান দিতেই বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন গ্রুপ সি-র চাকরিহারাদের আইনজীবী। সাথে সাথেই ওই শব্দ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।
রাজ্য রাজনীতিতে ২১-র বিধানসভা নির্বাচন থেকে জনপ্রিয় হয় 'খেলা হবে' স্লোগানটি। বর্তমানে তৃণমূলের কম বেশি প্রতিটি সভাতেই নেতাদের মুখে এই স্লোগান শোনা যায়। এবার সেই স্লোগান শোনা গেল আইনজীবীর মুখে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে গ্রুপ সি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল। চাকরি হারাদের আইনজীবী আদালতে এসএসসি গ্রুপ সি-র কাউন্সেলিং-এ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আর্জি জানান। কিন্তু তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।
তিনি বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ চাকরিহারা প্রার্থীরা এদের অনুমতি নিয়েই চাকরিতে যোগদান করেছিলেন। সকলের ভূমিকাই পর্যালোচনা করা দরকার। তারপর খেলা হবে। এর পরেই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার আইনজীবীকে 'খেলা হবে' কথাটি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সিবিআই যে ওএমআর শীট বিকৃত করেনি তার প্রমাণ এখনও মেলেনি। এমনকি উত্তর প্রদেশে অবস্থিত নাইসা সংস্থাকেও উত্তরপ্রদেশ সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছে। সে ক্ষেত্রে সংস্থাটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
সিবিআই-র আইনজীবী আদালতে পাল্টা দাবি করেন, সিবিআই কোনো ওএমআর শীট বিকৃত করেনি। ওএমআর শীট তৈরির জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়। পদ্ধতিটি খুবই জটিল। যার ফলে স্ক্যান করলে সমস্ত তথ্য সামনে চলে আসে। আর এসএসসির অফিসেও সমস্ত ওএমআর শীট স্ক্যান হয়েছে। আর এটি কোনো সাধারণ কাগজ নয় যে সহজে বিকৃত করা যাবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন