RG Kar Case: 'টাকা চাই না, বিচার চাই' - মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান নির্যাতিতার বাবার

People's Reporter: নির্যাতিতার বাবা বলেন, বিভিন্ন রকমের সুবিধা পাবে আর জি করে থাকলে। তাই দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও ওঁ আরজি কর বেছে নেয়।
'টাকা চায় না, বিচার চায়' - মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান করে জানালেন নির্যাতিতার বাবা
'টাকা চায় না, বিচার চায়' - মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান করে জানালেন নির্যাতিতার বাবাছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

"টাকা চাই না, বিচার চাই" - আর জি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে জানালেন নির্যাতিতার বাবা। উল্লেখ্য, নিহতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতিতার বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে চেস্ট মেডিসিনে এমডি করার জন্য সরকারি কলেজে জায়গা পেতে দুই বছর পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর কাছে দুটি বিকল্প ছিল – জেএনএম কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। তিনি জানান, "বিভিন্ন রকমের সুবিধা পাবে আর জি করে থাকলে। তাই দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও ও আরজি কর বেছে নেয়। জেএনএম বেছে নিলে ওর জন্য ভালো হতো। কিন্তু এই পরিণতির জন্যই কি আমরা ওকে কলকাতার সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম?” 

তিনি জানান, "কেন আমরা টাকা নেব? আমরা ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখ্যান করেছি এবং ভবিষ্যতেও নেব না।" ন্যায় বিচারের দাবিতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করা প্রত্যেককে নিজের সন্তান হিসাবে জানান তিনি। মৃতার বাবা জানিয়েছেন, সিবিআই এই মামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের। বৃহস্পতিবার, সিবিআই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করে এবং নির্যাতিতার নিজের হাতে লেখা ডায়েরি নিয়ে যায়।

মৃতার স্বপ্ন ছিল একজন ভাল ডাক্তার হওয়া। সেকথা স্মরণ করে তিনি জানান, "মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং উভয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিল ও। কিন্তু ওর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। তাই সে মেডিক্যাল বেছে নিয়েছিল। এর আগে, প্রাথমিকভাবে মালদার একটি হাসপাতালে যোগ দিয়েছিল কিন্তু পরে বাড়ির কাছাকাছি থাকার কারণে নদিয়াতে একটি হাসপাতালে যোগ দেয়। ২০১৮ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক করেছিল ও।"

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in