'এরকম বৈঠকে আমাকে আর ডাকবেন না' - ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক ছাড়লেন রূপা

রূপার ক্ষোভের কারণ স্পষ্ট না হলেও তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকেই মনে করছেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ গৌরব বিশ্বাসকে পুরভোটে প্রার্থী না করায় অসন্তুষ্ট তিনি।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ফাইল চিত্র
Published on

পুরভোটের প্রাক্কালে দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক ছাড়লেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। দলীয় নেতা-নেত্রীদের একের পর এক ক্ষোভ প্রকাশের তালিকায় নাম জুড়ল রূপারও। ওই বৈঠকে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ‌্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ নির্বাচনী কমিটির সদস‌্যরা।

মঙ্গলবার রাতে বৈঠক চলাকালীন রূপা হঠাৎ বলেন, এরকম বৈঠকে আমাকে আর ডাকবেন না। এরপরেই তিনি ভারচুয়ালি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তাঁর ক্ষোভের কারণ স্পষ্ট না হলেও তাঁর একটি ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকেই মনে করছেন, তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে প্রার্থী না করায় অসন্তুষ্ট রূপা।

৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলর প্রয়াত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় দলের অন্যতম পুরনো কর্মী ক্ষুব্ধ গৌরব নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। গৌরববাবুর প্রশ্ন, 'কাকে সুবিধা করে দিতে বিজেপি আমাকে এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করল না?' তিনি বলেন, 'আমি প্রার্থী হচ্ছি বলে সব ঠিক ছিল। প্রায় ১৫ বছর ধরে সক্রিয়ভাবে দলটা করে আসছি।' এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক বলেন, 'কলকাতা বা এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি বা পরামর্শ নেওয়া হয়নি।' ফলে ওই ওয়ার্ডে অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির।

অন্যদিকে, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীপদের দাবিদার প্রাক্তন যুব নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া তাঁকে প্রার্থী না করায় মঙ্গলবার পার্টি অফিসের সামনে এসে ক্ষোভ জানান। তিনি বর্তমানে দলের রাজ্য প্রোটোকল ইনচার্জ। এরপরই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাতে তাঁকে বহিষ্কার করেছে রাজ্য বিজেপি।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
Rajasthan: বসুন্ধরা রাজের সমাবেশে ‘পুনিয়া ভাগাও, বিজেপি বাঁচাও’ পোস্টার - প্রকাশ্যে অন্তরকলহ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in