
আর জি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়েছেন। এই জামিনের বিরোধিতা করে ধর্মতলায় ধর্নায় বসতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি চেয়েছিল চিকিৎসক সংগঠন। কিন্তু অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠনের মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।
মামলার ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করতে পারেনি সিবিআই। যার জেরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এই আবহে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং কর্তব্যে গাফিলতার অভিযোগ তুলে ফের প্রতিবাদে নেমেছে ‘জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স’। প্রতিবাদের অংশ হিসাবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্নার কর্মসূচি নেয় চিকিৎসক সংগঠন।
১৭ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডোরিনা ক্রসিংয়ে অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে ধর্নায় বসতে চেয়ে রবিবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে একটি ইমেল করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের দু’টি দাবি, সিবিআইকে দ্রুত অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করতে হবে। এছাড়া, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে সিবিআইকে বাধা দেওয়া চলবে না। চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, শান্তিপূর্ণভাবে এই অবস্থান হবে। এর ফলে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হবে না। এমনকি বিঘ্নিত হবে না নিরাপত্তাও।
তবে সোমবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডোরিনা ক্রসিংয়ে কর্মসূচির জেরে যানজট হতে পারে। এছাড়া, প্রাক বর্ষবরণ এবং বড়দিনের কারণে ধর্মতলা চত্বরে ভিড় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাবে না।
পুলিশ আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে চিকিৎসক সংগঠন। মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলার অনুমতি দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন