
বকেয়া DA–র দাবীতে ‘ডিজিটাল নন-কোঅপারেশন’ (Digital Non-Cooperation) বা ‘ডিজিটাল অসহযোগ’-এর ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শনিবার থেকে রাজ্যজুড়ে সেই কর্মসূচী পালন করছেন সরকারী কর্মচারীরা। এরই মাঝে, ধর্না মঞ্চে এসে অনশনে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ দলের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (MLA Naushad Siddiqui)।
DA–র দাবীতে শহীদ মিনারে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন আজ পা দিয়েছে ৫১ দিনে। ৩৭ দিনে পড়েছে অনশন-আন্দোলন। সরকারি কর্মীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে অনশন শুরু করলেন নওশাদ।
শনিবার সকাল ৬ টাতেই ধর্নামঞ্চে পৌঁছে যান তিনি। নওশাদ পৌঁছনোর পর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। নওশাদ বলেন, ‘আমি আগেই এসে বলে গিয়েছিলাম একদিন অনশনে যোগ দেব। সেই মতো আজ অনশন করছি। সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা থাকব।’
রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়ে নওশাদ ওই মঞ্চ থেকে বলেন, ‘সরকারের উচিত সরকারি কর্মীদের সঙ্গে এক টেবিলে আলোচনায় বসা ও সমাধান সূত্র বের করা। কিছু চাওয়া হলেই সরকার বলছে টাকা নেই। অথচ খেলা-মেলা করে প্রচুর টাকা অপাত্রে দান করা হয়েছে।’
ধর্নামঞ্চে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নওশাদ বলেন, 'এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামী দিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।'
অন্যদিকে, শনিবার থেকে ডিজিটাল ধর্মঘট শুরু করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপে নিজের ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না।
এমনকি, কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়াল মেল মারফত জানাতে হবে। সরকারি অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজ করবেন না কর্মীরা, সে কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দফতরের আধিকারিকদের।
এর আগে বকেয়া DA-র দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা ২ দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন তাঁরা।