
কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কান্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চলছেই। এবার দেবাঞ্জন কান্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ট্যুইট আক্রমণে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার রাতে এক ট্যুইট বার্তায় এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ।
গতকালের ট্যুইটে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন – "দেবাঞ্জন দেব দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের তথ্য প্রযুক্তি সেলের আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর পেয়েছি। সংগঠন থেকে সরকার সব জায়গায় জড়িত ছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ নেতারা জানতেন। তাঁরা জানতেন বলেই এতদিন তিনি এসব করতে পেরেছেন।"
ওই ট্যুইটের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে লেখা আছে – 'শুধু দেবাঞ্জন নন, আরও অনেক এমন লোক আছেন যারা গাড়ি, নীল বাতি, ভুয়ো সরকারি লোগো ইত্যাদি ব্যবহার করেন। আমার সন্দেহ হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে এমন অনেক ভুয়ো অফিসার ছিল যারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে।'
ওই পোস্টারেরই নীচের দিকে লেখা আছে – 'ভোটগ্রহণ থেকে গণনা, সর্বত্র এই ধরণের লোক ঢোকানো হয়েছিলো, যারা ভোট এদিক ওদিক করেছে'।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবাঞ্জন কান্ড প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন - 'রাস্তায় বের হলে অনেকে ডাকেন। না শুনে চলে গেলে তো আবার বলবে মেয়র কথা শুনলেন না। কথা বলার সময় কেউ ছবি তুলে রেখেছে ফিরহাদের সঙ্গে।' মুখ্যমন্ত্রীর ওইদিন বিজেপিকে নিশানা করে অভিযোগ করেন, 'শুধু বাংলা নয়। একাধিক রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গুজরাটে তো বিজেপির দলীয় কার্যালয় থেকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সঙ্গেও অনেকের ছবি রয়েছে। সেই ছবিগুলো কোথায় গেল?'
কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা বিমান বসু জানিয়েছেন - 'কসবা, সোনারপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় টিকাকরণ শিবিরের কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। একজন ব্যক্তি কলকাতা পুরসভার লোগো সাইনবোর্ড ব্যবহার করল, নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দিল আর পুলিশ কিছু জানত না। অথচ ওই ব্যক্তির নাম পুলিশের খাতায় ছিল। শাসকদলের মন্ত্রী, সাংসদ, পুরসভার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে অবাধ যাতায়াত ছিল।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন