

গত বছর মে মাসেই বিধ্বংসী আমফান ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের একাংশ। সেই ক্ষত পুরোপুরি মিটতে না মিটতেই ফের এক ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটিতে তটস্থ রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই এনিয়ে রাজ্যকে সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশাসনকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২২ মে অর্থাৎ আগামী শনিবার নাগাদ উত্তর আন্দামান ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরের ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তিসঞ্চয় করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যদি তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় এর নাম হবে 'যশ' এবং তা ২৬ মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে। এর জেরে দুই রাজ্যের উপকূলেই মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রের সতর্কবার্তাতেও এই কথা বলা হয়েছে। যদিও নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে একথা এখনও নিশ্চিত করে জানায়নি আবহাওয়া দপ্তর। নিম্নচাপের গতিপ্রকৃতির ওপর নজর রাখা হয়েছে।
তবে ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। বুধবার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উপকূলবর্তী সাইক্লোন সেন্টারগুলিকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল, খাবার ও ওষুধ মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ মে অর্থাৎ সোমবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন