

ফের বিপাকে সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। মহিলা সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে ৬ মাসের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করল সিপিআইএম। দলের ইন্টার্নাল কমপ্লেন্ট কমিটির তদন্তের রিপোর্ট ও সুপারিশ অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সিপিআইএম জানিয়েছে, এক মহিলা সাংবাদিককের শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে তন্ময় ভট্টাচার্যকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সিপিআইএম। তবে তন্ময় ভট্টাচার্য যেহেতু উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তাই সাসপেনশনের জন্য দরকার কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন।
তবে বিবৃতিতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত কিনা, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও উল্লেখ নেই।
গত অক্টোবর মাসে নিজের বাড়িতে এক মহিলা সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ওই সাংবাদিককে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। মহিলা সাংবাদিক নিজে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেছিলেন, তন্ময় ভট্টাচার্যর সাক্ষাৎকার নিতে তিনি তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়। তাঁর 'কোলে বসে পড়েন' সিপিআইএম নেতা।
এরপর সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে বরানগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। থানাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরাও দেন তিনি।
এই অভিযোগের পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তন্ময় ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ডের কথা বলেন। সেই মতো এতদিন সাসপেনডেন্ট ছিলেন তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী গত সপ্তাহেই তাঁর উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার করেছিল সিপিআইএম। এমনকি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনও মঞ্জুর হয় সিপিআইএম নেতার। কিন্তু নতুন করে সাসপেন্ড হওয়ায় দলের অভ্যন্তরেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
একাংশের দাবি, সামনেই পার্টির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সম্মেলন রয়েছে। এই সাসনপেনশনের ফলে তিনি সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন না। দলের মধ্য থেকেই হয়তো কেউ তন্ময় ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন বলে অনেকের মত।
তবে তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে এই প্রথম অস্বস্তিতে পড়েনি সিপিআইএম। এর আগে দলবিরোধী কাজের জন্য ৩ মাসের জন্য সেন্সর হয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর আইএসএফ-র সাথে জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। দলের রণকৌশল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন। যার জেরে ৩ মাস কোনও সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেওয়ার নিয়ে তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন