যত দিন গড়াচ্ছে, ততই অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড-এসব নিয়ে কালোবাজারি বাড়ছে। চলছে জালিয়াতি চক্র। সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ে বাধ্য হয়ে সেই চক্রেরই অংশীদার হয়ে পড়ছেন। নিজের পরিবারকে বাঁচাতে অক্সিজেন জোগাড় করতে কালোবাজারিই হয়ে উঠছে তাঁদের ভরসা। এবার এই জালিয়াতি রুখতে মাঠে নামল কলকাতা পুলিশ।
মানুষকে সচেতন হওয়ার আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল পুলিশের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কোথাও এ-ধরনের ঘটনা ঘটেছে জানতে পারলে তা সরাসরি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
শুধু হাসপাতালের বেড, অক্সিজেনের অভাব নয়, সংকট রয়েছে প্লাজমা ও জরুরি ওষুধেরও। অনেকে সাহায্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছেন। সমস্যার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। আর সেই অসহায় মানুষগুলোর অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে নেমে পড়েছে ভন্ডরা। সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। অনলাইন পেমেন্টে টাকা পেয়ে যাওয়ার পর আর দেখা মেলে না সেই ভুয়ো 'সাহায্যকারী'-দের। পরিজনকে বাঁচাতে মানুষ সর্বস্ব দিয়েও সমাধান বের করতে পারছেন না। তাই এবার কড়া হল কলকাতা পুলিশ।
কলকাতায় মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে চড়া দামে জরুরি ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম বিক্রি চলছে। গতকালই এই ধরণের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। যে রেমডিসিভির-এর দাম ২৭০০ টাকা, তা ২৫ হাজারে বিক্রি করছিল তারা। অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে অনেক জায়গাতেই। শুধু তাই নয়, জাল স্যানিটাইজার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। সবকিছুতেই সাধারণ মানুষকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে এবার বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ।
গতকালই যাদবপুর থানার পুলিস অক্সিজেনের কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দুই অ্যাম্বুলেন্স চালককে গ্রেপ্তার করে। এই দুই ব্যক্তি চড়া দামে অক্সিজনের ফ্লো মিটার বিক্রির চেষ্টা করছিলো বলে জানা গেছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।