
ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশনের আজ দশম দিন। ইতিমধ্যেই ছয় জুনিয়র চিকিৎসকের অসুস্থতার খবর মিলেছে। যার মধ্যে চারজন কলকাতার (অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য, তনয়া পাঁজা) এবং দু'জন উত্তরবঙ্গের (আলোক বর্মা, সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়)। অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবনতিতে চিন্তায় নাগরিক সমাজ এবার ইমেল করল মুখ্যমন্ত্রীকে। ইমেল করা হয়েছে মুখ্যসচিবকেও বলে জানা গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিবক মনোজ পন্থকে ইমেল করে বিশিষ্টজনরা উল্লেখ করেছেন, “সরকার ও আন্দোলনকারীদের বৈঠকের ফলাফল এক জটিল ও অনভিপ্রেত অচলাবস্থা সৃষ্টি করছে। অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবনতিতে নাগরিক সমাজ গভীর দুশ্চিন্তায় রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতা আন্দোলনকারীদের অনশনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।“ এঁদের মধ্যে রয়েছেন অপর্ণা সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক বিশিষ্টজন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টকেও চিঠি দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সকলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ থাকুন, দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বার্থে যা একান্ত প্রয়োজন। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাই, সুস্থ আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের ন্যায্য দাবির সমাধান ও বাস্তবায়ন। এই প্রক্রিয়ায় আমরা যথাসাধ্য সক্রিয় থাকব। অনশনরত চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ নাগরিক সমাজের সক্রিয়তায় আস্থা রেখে অনশন প্রত্যাহার করুন।“
মুখ্যসচিবকে ইমেল করে বিশিষ্টজনদের আবেদন, “প্রশাসনের কাছে পুনরায় দাবি জানাচ্ছি, অনশনরত চিকিৎসকদের মর্যাদা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনুন। তাঁদের দাবিপূরণের জন্য সততার সঙ্গে সচেষ্ট হন।“ পাশাপাশি তাঁরা উল্লেখ করেছেন সমস্যা সমাধানে সেতু বন্ধনের কাজ করতেও প্রস্তুত তাঁরা। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "প্রশাসন ও আন্দোলনরত চিকিৎসক সমাজকে জানাতে চাই সমস্যা নিরসনে দু পক্ষের মধ্যে নতুন সংলাপের সেতু গড়ে তুলতে, নাগরিক সমাজের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে কি না জানান, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারি।''
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন