WB: পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়ার, রেশন ডিলাররা - নির্বাচন কমিশন

চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। যেমন- গ্রাম রোজগার সেবক, শিক্ষা বন্ধু, পঞ্চায়েতের ঠিকা কর্মী বা রাজ্য সরকারের চুক্তি ভিত্তিক গ্রুপ ডি কর্মীরা।
WB: পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়ার, রেশন ডিলাররা - নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বুধবার। এই ভোটে কারা প্রার্থী হতে পারবেন, আর কারা পারবেন না - তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সব জেলা শাসক ও জেলা পঞ্চায়েত অফিসারকে।

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনভাবেই সিভিক ভলান্টিয়াররা পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। সিভিকরা রাজ্য সরকারের স্থায়ী কর্মী নন। কিন্তু কমিশনের বক্তব্য, তাঁরা স্থায়ী কর্মী না হলেও রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মী। সেই নিয়োগের কিছু শর্ত রয়েছে। তার ফলে, পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন না।

একইভাবে, অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক কর্মীরাও পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে পারবেন না। যেমন- গ্রাম রোজগার সেবক, শিক্ষা বন্ধু, পঞ্চায়েতের ঠিকা কর্মী বা রাজ্য সরকারের চুক্তি ভিত্তিক গ্রুপ ডি কর্মীরা। শুধু তাই নয়, রেশন ডিলারদেরও প্রার্থী হওয়ার অনুমোদন দেয়নি কমিশন।

যদিও সরকারী ঠিকাদারদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনও বাধা নেই। তবে, কিছু শর্ত আরোপ করেছে কমিশন। প্রথমত, নমিনেশন জমা দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সরকারি চুক্তি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করতে হবে, যা তিনি পেয়েছেন। যদি, চুক্তিভিত্তিক কাজের কোনও অংশ বাকি থাকে, তাহলে, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

তবে, কমিশনের এই বিধিনিষেধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের যুক্তি, সিভিক ভলান্টিয়ার, সরকারী ঠিকাদার এবং রেশন ডিলারদের বাধা থাকলেও, তাঁদের স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনও বাধা নেই। তাই এই বিধিনিষেধ আসলে কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

বিরোধী দলগুলি অভিযোগ করেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাগুলি সাবধানতার সাথে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ সিভিক, ঠিকাদাররা তাদের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভোটের মাঠে যুক্ত থাকতে পারে। তবে, এ ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গ্রামের আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, শিশু শিক্ষা সহায়করা প্রার্থী হতে পারবেন। এ ছাড়া ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের কর্মীদেরও প্রার্থী হতে বাধা নেই। কারণ, বোর্ডের নিয়মে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।

এছাড়া, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, হাই স্কুল শিক্ষক, প্যারা টিচাররা পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারেন। অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, লেকচারার, গেস্ট লেকচাররাও পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়ার জন্য যোগ্য বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

WB: পঞ্চায়েতে প্রার্থী হতে পারবেন না সিভিক ভলান্টিয়ার, রেশন ডিলাররা - নির্বাচন কমিশন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় - কুন্তল ঘোষকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করুক ED-CBI: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in