সন্ধ্যা ৬টায় কালীঘাটে জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর! যেতে পারবেন ১৫ জন প্রতিনিধি

তিলোত্তমার বিচারের দাবি সহ মোট ৫ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। লাইভিস্ট্রিমিং-র দাবি না মানায় নবান্নতে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক না করে ফিরে আসেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে এবার জানা যাচ্ছে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক হবে।

আজ জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। তিনি আলোচনার বার্তা দেন। এরপরই আলোচনা করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মেইল করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্যসচিব পালটা মেইল করে জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ১৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। লাইভ স্ট্রিমিং প্রসঙ্গে উভয় তরফেই কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

শনিবার জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, "আমরা আলোচনায় বসতে চাই। আগেও বলেছি। এখনও বলছি। যেকোনও সময় যেকোনও মুহূর্তে বসতে চাই। আমাদের ৫ দফা দাবির জায়গাটাই মূল। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মেইল করেছি। স্বচ্ছতার প্রশ্ন যেমন আগেও ছিল তা এখনও আছে। আলোচনা করতে হলে খোলা মনেই করা উচিত। আলোচনার মাধ্যমেই জট কাটে।"

"মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কাছে এসেছেন। অর্থাৎ এটাই বোঝায় যে আমরা ন্যায্য দাবি নিয়েই আন্দোলন করছি। মুখ্যমন্ত্রী যে এসেছেন তাতে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। উনি এসে শুধু সাংবাদিকদের বাইট দিয়ে চলে গেলেন। তখনও আমরা বলেছিলাম এখনই যদি আলোচনা করতে বলেন আমরা রাজি আছি। সকলের সামনেই আলোচনা হবে। কিন্তু তিনি চলে গেলেন। আমরাও মেইল করেছি। এখন অপেক্ষা করছি সরকারের মেইলের। একটা প্রশ্ন হচ্ছে স্বচ্ছতা মানে কী? আমাদের কাছে স্বচ্ছতা মানে যাতে সমস্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষ জানতে পারে", বলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান মঞ্চে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে বলেন, তিনি আরও বলেন, "আর কষ্ট না করে যদি আপনারা কাজে ফিরতে চান, তাহলে আমরা সকলের সাথে কথা বলে আপনাদের দাবিগুলো ভাববো। আমি চিন্তা করব। আমিও চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। আমি আবেদন করবো ৩ মাসের মধ্যে ফাঁসি চাই। আমি একা সরকার চালাই না। আমার সাথে মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব সকলেই আছেন। তাঁদের সাথে আলোচনা করতে হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই, দিদি হিসেবে আপনাদের কাছে এসেছি।"