

নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত শাসক দলের আরও বিধায়ক ও কাউন্সিলর। আদালতে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। তাঁদের কি লোকসভা নির্বাচনের আগে তলব করা হবে? কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি অভিজিত গাঙ্গুলি।
আদালতের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের রিপোর্ট জমা করতেই প্রশ্নের মুখে সিবিআই। আদালত সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে নাকি একাধিক তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের নাম রয়েছে। যাঁরা দুর্নীতির সাথে যুক্ত। রিপোর্ট দেখে বিচারপতি গাঙ্গুলি বলেন, "এঁরা তো সব মহাপুরুষ! এঁদের কবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা করার পর কি তলব করা হবে? অনেকেই আছেন যাঁরা সাদা পাজামা ও পাঞ্জাবি পরে ঘোরেন কিন্তু দুর্নীতির সাথে যুক্ত। অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পাখির পালকের মতো হাওয়া করলে চলবে না।"
বিচারপতি আরও বলেন, 'মানুষ দিন দিন দুর্নীতির তদন্তের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। আপনারা বলছেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে কিন্তু আদালতের নির্দেশই ঠিকমতো পালন করছেন না। মানিক ভট্টাচার্যর সাথে কি সিবিআই-র বোঝাপড়া ছিল নাকি? সেই জন্যই কি সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে তিনি রক্ষাকবচ নিয়েছিলেন? রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের আবেদন করেনি কেন সিবিআই? মানিককে কেন সঠিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? এইভাবে তদন্তে চলতে পারে না'।
অন্যদিকে, সিবিআই-র তরফ থেকে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, রিপোর্টে নাম থাকা অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্যদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যদিও ওই রিপোর্টে থাকা কারুর নাম এখনও জানা যায়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন