

মানেকা গম্ভীরের (Maneka Gambhir) পক্ষে যে রক্ষাকবচ ছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
মানেকা গম্ভীর সংক্রান্ত মামলায় আগের সমস্ত নির্দেশ খারিজ করে মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন বিচারপতি। ফলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার কাছে আর কোনও রক্ষাকবচ রইল না। এখন ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) চাইলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। একইভাবে, মেনকা গম্ভীরও আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
গরু ও কয়লা পাচার মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন মানেকা গম্ভীর। তাঁকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ। মেনকাকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং দিল্লির পরিবর্তে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডিকে, অন্তর্বর্তী নির্দেশে এমনই জানান বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি। কিন্তু, সেসময় মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। এসময়, ইডিকে আদালত জানায়, মানেকার অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাঁরা (ED) যে কোনও সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারকের কাছে যেতে পারেন।
শুক্রবারই শেষ হয়েছে মানেকার সুরক্ষার সময়সীমা। তাই, এদিনই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ নতুন আবেদন জানায় ইডি। আর, আবেদনের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সুরক্ষাকবচ সংক্রান্ত মানেকার আগের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, আদালতের এই নির্দেশের ফলে মানেকার বিরুদ্ধে এখন যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি। আবার, সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থও হতে পারবেন অভিষেক শ্যালিকা।
- with IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন