

এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। এর আগে এই মামলাগুলি দ্রুত শুনানি হচ্ছে না বলে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। যদিও সর্বোচ্চ আদালত ওই মামলাগুলিতে হস্তক্ষেপ না করে কলকাতা হাই কোর্টকেই এব্যাপারে পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছিল।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একাধিক এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এরপর, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআর-এ স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এমনকী, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা করতে গেলেও হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
বিচারপতি মান্থার সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। যদিও শীর্ষ আদালত এব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে হাইকোর্টকেই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছিল। বিচারপতি মান্থাই এবার এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন। তাঁর বদলে এই মামলা অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে পাঠানো হোক বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিন বিচারপতি মান্থা নিজের পর্যবেক্ষণ বলেন, রাজ্যের আবেদন দেখে মনে হচ্ছে, মামলাকারীর জন্যই যেন শুনানিতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু হাইকোর্টের মনে হচ্ছে দ্রুত শুনানিতে কোনও পক্ষই আগ্রহী নন।
বিচারপতি মান্থা বলেন, 'দীর্ঘ শুনানির সময় এই এজলাসের নেই। আদালতের আরও ৫০ জন বিচারপতি রয়েছেন। অন্য কোনও এজলাসে মামলাগুলি পাঠানো হোক।'
এর আগে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি পার্থসারথী সেন। এর মধ্যে রয়েছে কাঁথিতে দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন