

আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় একাধিক প্রশ্নচিহ্ন থাকায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে রাজ্য পুলিশকে রবিবার পর্যন্ত তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নইলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবারই তদন্তভার সিবিআই-র হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় বহু প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
আদালতের প্রশ্ন, কেন নির্যাতিতার বাড়ির সদস্যদের ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল? অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন আত্মহত্যা বলা হয়েছিল? নিহত চিকিৎসককে অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখার পরেও কেন অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের সুপার মামলা দায়ের করলেন না? ৩ দিনের বেশী সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেল কিন্তু তদন্তের কোনও উন্নতি হয়নি।
এর আগে এদিন মামলার প্রথম পর্বের শুনানিতে দুপুর ১টার মধ্যে পুলিশকে কেস ডায়েরি জমা করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। নির্দেশ মতো কেস ডায়েরি জমা করে পুলিশ। কিন্তু তাতে অসন্তুষ্ট হয় আদালত।
অন্যদিকে, আজ প্রথম পর্বের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ কি এতটাই প্রভাবশালী, যে ইস্তফার ৪ ঘন্টার মধ্যে নতুন নিয়োগপত্র পেয়ে গেলেন? এইভাবে তাঁকে কেন পুরস্কৃত করা হল? প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে কেন রক্ষা করার চেষ্টা হচ্ছে? বিকেলে ৩টের মধ্যে ছুটির আবেদন জানিয়ে সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে যেতে বলুন। নয়তো আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। আপাতত তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারবেন না"।
আদালতের নির্দেশের পরই স্বাস্থ্যভবনের কাছে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে কিনা তা বিবেচনা করে দেখছে স্বাস্থ্যভবন।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মোট পাঁচটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এর মধ্যে একটি নির্যাতিতার মা-বাবা করেছেন, তদন্ত সঠিকভাবে হচ্ছে না এই দাবি জানিয়ে। প্রধান বিচারপতি সমস্ত মামলা একসাথে যুক্ত করার নির্দেশ দেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন