

এসএসসির পর এবার টেট। ২০১৪ সালে টেটের ৪২ হাজার চাকরির নিয়োগের প্যানেল দেখতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি জানান, ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগের প্যানেল আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী ৩০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের এজলাসে বদল হয়েছে মামলা-সূচি। এরপর মঙ্গলবার ২০১৪ সালের টেটে নিয়োগের একটি মামলা ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। মামলা চলাকালীন বিচারপতি সিংহ জানতে চান, ‘‘ওই ৪২ হাজার নিয়োগের তালিকা কোথায়? কারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছিলেন?’’
এরপর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও নিয়োগের তালিকা থাকা দরকার। কারা যোগ্য এবং কারা চাকরি পেলেন, তা প্যানেল থেকেই জানা সম্ভব।’’ এর পরেই বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘নিয়োগ যখন হয়েছে, প্যানেল তো থাকবেই। সেই প্যানেলই আদালত দেখতে চায়।“
আগামী ৩০ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগ প্যানেল আদালতে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা হয়। তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ সম্পন্ন হয়। মোট ৪২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সেই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ছিল সেই মামলার শুনানি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন