
রাজ্যের নয়া ওবিসির বিজ্ঞপ্তির উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।
মঙ্গলবার এনিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বক্তব্য, "এখনো পর্যন্ত রাজ্যের তরফে বিভিন্ন বিষয়ে যে চার থেকে পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে"।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, "আমরা আগেও বলেছি ওবিসি শ্রেণীভুক্ত ৬৬ টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন। আপনারাও বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে ঠিক আছে তাহলে সেই অবধি কোনও পদক্ষেপ করবেন না"।
বিচারপতি মান্থার দাবি, "আপনারা ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী অর্ধেক কাজ করেছেন। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফেরত গিয়েছেন। এটা কেন ? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?"
উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ২০২৪ সালের ২২ মে ওই নির্দেশ বহাল রেখে রায় দিয়েছিল আদালত। রায়ে বলা হয়, ২০১০ সালের আগে ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ। উচ্চ আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি। মামলাটি এখন সেখানে বিচারাধীন।
নতুন মামলায় মামলাকারীদের বক্তব্য, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। তবে রাজ্য জানিয়েছিল আদালতের নির্দেশ মেনেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পেশাগত ভাবে ভিন্ন রাজ্যের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্য জেলাভিত্তিক কয়েকটি পরিবারের মধ্যেই সমীক্ষা করেছে। আগের প্রকাশিত তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার অল্প কিছুই তফাৎ আছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন