

চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকার বদলির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বদলির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করলো হাইকোর্ট। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বদলি করা যাবে না মামলাকারী শিক্ষিকাকে। পাশাপাশি বদলির নির্দেশকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
কিছুদিন আগে বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁদেরই একজন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বলেন, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকাদের বদলি করা যায় না। তাঁদের বদলির কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। কোন নিয়মের ভিত্তিতে সরকার এভাবে বদলির নির্দেশিকা জারি করেছে?
সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে আধঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার আজ কোনো উত্তর দিতে পারে নি। পরিবর্তে সময় চান সরকারী আইনজীবি। এরপরই সরকারকে উত্তর দেওয়ার সময় দিয়ে বদলির নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত।
আগামী ১৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৯ আগস্ট হুগলির বলাগড় থেকে মালদায় বদলি করা হয় অণিমা নাথ নামের ওই মামলাকারী শিক্ষিকাকে। তিনি ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষিকা। বদলির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বেতন বৃদ্ধি, চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করায় বেআইনিভাবে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন