মিছিলের অনুমতি দেওয়া হলো কেন? - সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে হাওড়া, রিষড়া এবং ডালখোলার রিপোর্ট সিসিটিভি ও ভিডিও ফুটেজ সহ জমা দিতে হবে রাজ্যকে।
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টছবি - সংগৃহীত

রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করলো কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে হাওড়া, রিষড়া এবং ডালখোলার রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করলো আদালত।

সোমবার হাওড়ার হিংসা মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। তখনই আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, "গত বারেও যখন অশান্তির সৃষ্টি হয়েছিল তাহলে কেন এই বছর অনুমতি দেওয়া হলো? পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিছিল হওয়া সত্ত্বেও হিংসা ছড়িয়ে পড়লো কীভাবে? পুলিশ কি কিছু বুঝতে পারেনি? কেন পুলিশের হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি? এই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে?"

রাজ্যের আইনজীবী জানান, এই ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হলেও ২৫-৩০ মিনিট পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

মামলাকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, অস্ত্র নিয়ে মিছিলের অনুমতি কীভাবে পুলিশ দিল? অস্ত্র দেখা গেলেও পুলিশ সেইসময় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে নজরদারি করতে হয়েছে। এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত।

সওয়াল জবাব শেষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে নির্দেশ দেয়, রাজ্যকে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে এই বিষয়ে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা করতে হবে। বিভিন্ন সিসিটিভি এবং ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ এপ্রিল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ রামনবমী উপলক্ষ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুরে অশান্তি ছড়িয়ে ছিল। দোকান, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। সেই ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

অন্যদিকে গতকাল হুগলীর রিষড়াতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিল চলাকালীন হঠাৎই উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এক বিজেপি বিধায়ক, এক ওসি সহ অনেকে আহত হয়েছেন। রিষড়ার ঘটনায় ১২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

কলকাতা হাইকোর্ট
উত্তর থেকে দক্ষিণ, একের পর এক সমবায় সমিতির নির্বাচনে বামেদের জয়জয়কার; তৃণমূল শূন্য
কলকাতা হাইকোর্ট
ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে বিজেপি এবং তৃণমূল - সুদীপ্ত গুপ্তর শহিদ দিবসে SFI

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in