

জনস্রোতে ভেসে চিরদিনের মতো লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিকেল ৫টার পর এনআরএস মেডিকেল কলেজে পৌঁছল তাঁর মরদেহ। মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করে রেখেছিলেন তিনি। সেই মতো এদিন তাঁর দেহ দান করা হয়। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে এনআরএস হাসপাতাল পর্যন্ত শেষযাত্রায় পা মেলালেন লক্ষ লক্ষ কর্মী-সমর্থক-রাজ্যবাসী।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শেষ যাত্রা সম্পন্ন হল। এনআরএস মেডিকেল কলেজে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন। চোখের জলে প্রিয় 'কমরেড'কে বিদায় জানালেন বিভিন্ন প্রজন্মের কর্মী-সমর্থকরা। দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে দেহ নিয়ে আসা হয় এনআরএস-এ।
শুক্রবার সকালে পিস ওয়ার্ল্ড থেকে বুদ্ধবাবুর দেহ নিয়ে যাওয় হয় বিধানসভায়। বিধানসভা থেকে শেষবারের জন্য নিয়ে যাওয় হয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআইএম দফতরে। সেখানে শ্রদ্ধা জানান কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সিপিআইএম নেতৃত্ব। কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, দিল্লি থেকে সিপিআইএম নেতারা শেষ শ্রদ্ধা জানান।
তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আলিমুদ্দিনের গেট থেকে মৌলালি পর্যন্ত মানুষের লাইন পড়ে যায়। আলিমুদ্দিন থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সিপিআইএম যুব সংগঠনের দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখানে দেহ রেখে শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা ছিল বামেদের। কিন্তু মানুষের ভিড় এতটাই ছিল যে দেহ নামানোই সম্ভব হয়নি। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে দীনেশ মজুমদার ভবন ৫০০ মিটার রাস্তা আসতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘন্টা। ভিড়ের চাপে দেহ নামানো সম্ভব হয়নি। শববাহী গাড়িতেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে হয়।তারপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন