

ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ২১ রাউন্ড গণনার শেষে ৫৮,৩৮৯ ভোটে জয়লাভ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে পরাজিত হবার পর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার জন্য এই কেন্দ্রে তাঁর জয় প্রয়োজনীয় ছিলো। সমস্ত সংশয় দূর করে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ৫৮,৮৩২ ভোটে হারালেন তিনি। এদিন পরাজয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানান প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে ভবানীপুরে মোট ভোট পড়েছিলো ১ লক্ষ ১৮ হাজার। যার মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৪,৭০৯ ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৬,৩২০ ভোট। সিপিআই(এম) প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪,২০১ ভোট।
২০১১-র পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১তে প্রথমে এই কেন্দ্রে ৪৯,৯৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। সেবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এই আসন ছেড়ে দেন। এবারেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হবার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এই কেন্দ্র থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।
২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছিলেন ৫৪,২১৩ ভোটে। সেবার ভোট পড়েছিলো ৯৫ হাজারের কিছু বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৭৭.৪৬% ভোট।
২০১৬ সালের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে জেতেন ২৫,৩০১ ভোটে। সেবার ভোট পড়েছিলো ১,৩৭,৪৭৫। সেবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট পেয়েছিলেন ৪৭.৬৭ শতাংশ।
২০২১ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮,৭১৯ ভোটে। সেবার ভোট পড়ে ১,২৭,৫৩৬। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫৭.৭১ শতাংশ ভোট। সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী মহম্মদ শাহদাব খান পেয়েছিলেন ৫,২১১ ভোট। এবারের নির্বাচনে যদিও একক ভাবে ভবানীপুরে লড়াই করেছিল বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস।
এদিন জয় ঘোষণার পর ভবানীপুরের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন মানুষ যেভাবে বৃষ্টি, কোভিড সামলেও ভোট দিয়েছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ।
এদিন জয়ের পরেই রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে খড়দহ কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুরে ব্রজকিশোর গোস্বামী, দিনহাটায় উদয়ন গুহ এবং গোসাবায় বাপ্পাদিত্য নস্কর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন