

আরজি কর কাণ্ডে নাম জড়ানো দুই চিকিৎসক অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফেরানো নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে অবস্থান চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। রাতের পরে সকালেও চলছে সেই অবস্থান।
৪ মাস হতে চললো আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের। সুপ্রিম করতে চলছে বিচার প্রক্রিয়া। তবে আন্দোলনের ঝাঁজ ধীরে ধীরে কমছে। এই আবহেই 'থ্রেট কালচারে' অভিযুক্ত অন্যতম দুই চিকিৎসক অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সোমবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফেরানো হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ।
সোমবার রাত থেকেই পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন 'জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস'-র সদস্যরা। কাউন্সিলের সামনে লাগাতার স্লোগান দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, এখনও আরজি কর মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাহলে কেন অন্যতম দুই অভিযুক্তকে মেডিক্যাল কাউন্সিলে ফেরানো হল?
মঙ্গলবার সকালেও চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারী এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, 'আমাদের একটাই দাবি ছিল 'অভয়া'র খুনি যারা তারা ধরা পড়ুক। কলেজে কলেজে যারা থ্রেট কালচারের মাথা তাদেরকে রাজ্য প্রশাসন আবার পদে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এই অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে ফিরিয়ে কি আরও একটা অভয়াকাণ্ড ঘটাতে চাইছে? এদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল গুরুত্বই দিচ্ছে না। আজ চিকিৎসকরা যখন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন তখনও পুলিশ বাধা দিচ্ছে।'
অবস্থান স্থল থেকে ত্রিপল খুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। চিকিৎসকরা জানান, ত্রিপল টাঙিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ জানানোটা অগণতান্ত্রিক? আর অভয়াকাণ্ডটি গণতান্ত্রিক? মেডিক্যাল কাউন্সিল কি কারুর ব্যক্তিগত সম্পত্তি? রেড কার্পেটে করে অভিযুক্তদের ফেরানো হচ্ছে!
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এক কর্তা জানান, 'অভীক এবং বিরূপাক্ষকে মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে বারণ করার সিদ্ধান্ত আইন মেনে হয়নি। তাই জন্যই ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে'।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন