রাজ্যকে না জানিয়েই ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ, রাজভবন-শিক্ষাদপ্তর বিবাদ তুঙ্গে

বর্তমানে রাজ্যের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো স্থায়ী উপাচার্য নেই। উপাচার্য না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়ে দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত আরও বাড়লো। বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা না করেই ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল।

বর্তমানে রাজ্যের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো স্থায়ী উপাচার্য নেই। উপাচার্য না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়ে দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।

রাজ্যপালের এদিনের সিদ্ধান্তের পর এক ট্যুইট বার্তায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই ট্যুইটে তিনি লেখেন, আমি সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারলাম রাজভবন থেকে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই এই নিয়োগ করা হয়েছে। এই উপাচার্য নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি কারণ এই নিয়োগে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই বিষয়ে আইনজ্ঞদের সাথে আলোচনা চালাচ্ছি। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে আমি আবেদন জানাচ্ছি যে নবনিযুক্ত কোনো উপাচার্য যেন দায়িত্বভার গ্রহণ না করেন।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ট্যুইট
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ট্যুইটছবি ব্রাত্য বসুর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে স্ক্রীনশট

এদিনের নিয়োগ নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিক্ষা মহলও। তাদের মতে এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন রাজভবন এবং রাজ্য প্রশাসনের রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির অঙ্গ হয়ে গেছে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় এক বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রথমে রাজ্য সরকার শিক্ষা বিভাগের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চেয়েছিল। এখন তারা বিপরীত অবস্থায় পড়েছে।

বিগত কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগকে ঘিরে রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের মধ্যে বিতর্ক চলছে। অতি সম্প্রতি রাজ্য সরকার এক অর্ডিন্যান্স জারি করে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি তৈরিতে কিছু বদল আনে। যেখানে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকার বিষয়টি বাতিল করা হয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in