

আরজি কর কাণ্ডের পর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা রুখতে 'অপরাজিতা বিল' এনেছিল নবান্ন। রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছিল রাজভবন। জানা গেছে, সেই অপরাজিতা বিল রাজভবনে ফেরত পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম। বিল নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্রপতি ভবন।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনার পর ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে ধর্ষণ ও খুন রুখতে কড়া আইন আনা হবে।
সেই মতো সেবছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন বসে। সেই অধিবেশনে পাশ হয় 'অপরাজিতা বিল'। এরপর সেই বিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিবেচনার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই বিল নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলে রাজভবনে তা ফেরত পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এ প্রসঙ্গে বিধানসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিলটি এ বার রাজভবন থেকে আসবে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে। সচিবালয় থেকে বিলটি পাঠানো হবে নবান্নে। রাষ্ট্রপতি ভবন যে সব বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে, সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে রাজভবন"।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এনিয়ে বলেন, “অপরাজিতা বিল রাজ্যকে ফেরত পাঠালো কেন্দ্র? ধর্ষণ, খুনে মৃত্যুদণ্ডকে অতিরিক্ত নিষ্ঠুর সাজা বলে চিহ্নিত করে আপত্তি করল তারা? রাজভবন সূত্রে খবর পেয়েছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। এটা সত্য হলে তীব্র প্রতিবাদ থাকল। বিজেপির মানসিকতা কী, সেটা এ বার স্পষ্ট হল"।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে বিল দ্রুত পাশ করানোর আবেদন জানায়। পরে তৃণমূলের মহিলা সাংসদেরা রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রাতরাশের অনুষ্ঠানে গিয়ে একই দাবি জানিয়ে আসেন। সেই সময় রাষ্ট্রপতি জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ভেবে দেখবেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন