২৩ নভেম্বর শনিবার রাজভবনে চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে নিজের মূর্তি উন্মোচন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃক এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। এই আবহে রাজভবনের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই মূর্তিটি রাজ্যপালকে উপহার দেওয়া হয়েছিল।
রাজভবনের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, মাননীয় রাজ্যপাল ২৩ তারিখে রাজভবনে নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছেন। আসল সত্যি হল: অনেক শিল্পী তাদের শিল্পকর্ম মাননীয় রাজ্যপালকে উপহার দেন। অনেক চিত্রশিল্পী মাননীয় রাজ্যপালের প্রতিকৃতি এঁকে তাঁকে উপহার দিয়েছেন। একইভাবে, এক সৃষ্টিশীল ভাস্কর মাননীয় রাজ্যপালের একটি মূর্তি তৈরি করে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ঘটনাকে ‘নিজের মূর্তি উন্মোচন’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।“
রাজ্যপালের ওই মূর্তিটি তৈরি করেছেন ভারতীয় জাদুঘরের শিল্পী পার্থ সাহা। ২৩ নভেম্বর মূর্তিটি উন্মোচন করা হয়। এক্স হ্যান্ডেলে ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে মূর্তি উন্মোচন নিয়ে লেখা হয়, ডক্টর সি.ভি. আনন্দ বোসের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দু'বছর অতিক্রান্ত করে তিন বছরে পদার্পণ করা উপলক্ষ্যে এই আয়োজন। মাসব্যাপী এই উদযাপন চলবে।
ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের শেয়ার করা ছবিতে মূর্তিটির পাশে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই ছবি সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক।
এই নিয়ে তৃণমূলে নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমাদের রাজ্যপাল নিজে নিজের মূর্তি উন্মোচন করেছেন। এমনটা সচরাচর শোনা যায় না। প্রচারে থাকতেই এমনটা করেছেন উনি। এবার কি নিজের মূর্তিতে নিজে মালা দেবেন উনি?’
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু কটাক্ষ করে লেখেন, 'এ তো পুরো জটায়ু! রাজভবনে ম্যাকমোহন'।
সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন। তাঁর মতে, এতে রাজ্যপালের মর্যাদার অসম্মান হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন