আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকাল ১৪৩ জন ও তার আগের ৫৩ জন - সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২৫৫ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে বেতনও বন্ধ থাকবে এই শিক্ষকদের। এঁরা প্রত্যেকেই বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
প্রাথমিকে অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরি প্রাপকরা সুপ্রিম কোর্টে যান। সর্বোচ্চ আদালত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে সেই মামলা ফিরিয়ে দেয় এবং নতুন করে চাকরিপ্রাপকদের আবেদন শোনার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, এই ২৬৮ জনকে হাইকোর্টে চাকরির বৈধতার প্রমাণ দিতে হবে। বৈধতার নথি খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই মানতে হবে।
সেই অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। আজ ২৬৮ জন আবেদনকারীদের মধ্যে ৬১ জনের হলফনামা খতিয়ে দেখা হয়। তাঁদের সওয়াল-জবাব শোনার পর, তাদের মধ্যে ৫৯ জনের চাকরি নাকচ ও বেতন বন্ধের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বাকি দুজনের মামলা পরবর্তী শুনানির দিন শোনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ১৪৬ জন তাঁদের চাকরির বৈধতার নথি জমা দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ১৪৩ জনের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি। বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জন শিক্ষকের চাকরি বহাল রেখেছে আদালত। প্রশ্ন ভুলের দরুন তাঁরা অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন। আর এক জনের ক্ষেত্রে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, তাঁর নথি আরও এক বার খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে।
উল্লেখ্য আজ ছিল তৃতীয় পর্যায়ের শুনানি। গতকাল দ্বিতীয় পর্যায়ের শুনানি হয়েছে। ডিসেম্বর মাস প্রথম পর্যায়ের শুনানি হয়েছে, যেখানে ৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি। তিন পর্যায় মিলিয়ে ২৬৮ জনের মধ্যে ২৫৫ জনেরই চাকরি বাতিল করল হাই কোর্ট।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।