থানায় নিয়ে গিয়ে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, পাল্টা বিক্ষোভে উত্তপ্ত রাজারহাট

বৃহস্পতিবার রাজারহাটে দুয়ারে সরকারের শিবির চলছিল। মত্ত অবস্থায় সেখানে পৌঁছে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ ওঠে সঞ্জয় হুলপাত্রের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃত ব্যক্তি সঞ্জয় হুলপাত্র এবং রাজারহাট থানা
মৃত ব্যক্তি সঞ্জয় হুলপাত্র এবং রাজারহাট থানাছবি সংগৃহীত

দুয়ারে সরকারের ক‍্যাম্প থেকে এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয় পরিজনরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে রাজারহাট থানা চত্বর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাজারহাটের চাঁদপুরের একটি স্কুলে দুয়ারে সরকারের শিবির চলছিল। বিকেল ৫টা নাগাদ মত্ত অবস্থায় সেখানে পৌঁছে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ ওঠে সঞ্জয় হুলপাত্র নামের এক বছর আটত্রিশের যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।

সঞ্জয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতেই তাঁরা থানায় গিয়ে দেখেন লক-আপে বমি করে অচৈতন্য অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে আছেন তিনি। শুক্রবার তাঁকে ছেড়ে দেবে বলতে তাঁর বাড়ির লোক ফিরে আসেন। কিন্তু পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার তাঁরা থানায় গিয়ে জানতে পারেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে সঞ্জয়ের।

এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই পুলিশের বিরুদ্ধে সঞ্জয়কে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলে তাঁর প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনরা রাজারহাট থানা ঘেরাও করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। বাঁশ দিয়ে থানার সামনের রাস্তা ঘিরে দেয় তাঁরা। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ঘেরাও চলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনিও। বিধায়ক উপযুক্ত তদন্তের আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ ওঠে।

পুলিশের দাবি, সঞ্জয় হুলপাত্রকে তুলে আনা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু থানার মধ্যে অসুস্থ হননি তিনি। থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার বাইরে অসুস্থ হন তিনি। পুলিশই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্নও নেই।

এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। মৃত ব্যক্তিকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অপরদিকে মৃতের পরিবারকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূলের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in