সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ফাইল ছবি সংগৃহীত

প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় - বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রবীন্দ্রসদন থেকে শেষ যাত্রা

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ চলচ্চিত্র জগত। দীর্ঘ ৪০ দিন টানা লড়াইয়ের পর এদিনই দুপুর ১২.১৫ মিনিটে তাঁর লড়াই শেষ হয়ে গেল। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন শর্মিলা ঠাকুর, সন্দীপ রায়, লিলি চক্রবর্তী, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর বেলভিউ হাসপাতাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান – আমি প্রথম দিন থেকেই সর্বক্ষণ সৌমিত্র বাবুর শারীরিক অবস্থার খবর নিয়েছি। উনি চলচ্চিত্র জগতের এক মহান প্রতিভাবানকে আমরা হারালাম। গণ আন্দোলন, মানবিক আন্দোলনেও তিনি সবসময় ছিলেন। তিনি কোভিডের কাছে হারেননি। কিন্তু অন্যান্য নানা শারীরিক সমস্যার কারণে তিনি হেরে গেলেন। আমরা তাঁকে ধরে রাখতে পারলাম না। আজ বিশ্ব বাঙলার দুঃখের দিন।

প্রয়াত অভিনেতার মেয়ে পৌলমী বসু জানা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ প্রথমে গলফ গ্রীণে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে ২টো নাগাদ। সেখান থেকে টেকনিসিয়ান স্টুডিও হয়ে সাড়ে তিনটেয় মৃতদেহ আসবে রবীন্দ্র সদনে। সেখানে ২ ঘণ্টা সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানো জন্য প্রয়াত অভিনেতাকে শায়িত রাখা হবে। সাড়ে পাঁচটায় শেষযাত্রা শুরু হবে রবীন্দ্র সদন থেকে। এরপর কেওড়াতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

করোনা সংক্রমিত হয়ে গত ৬ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মাঝখানে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও গত কয়েকদিন ধরে ফের অবনতি হয় তাঁর শারীরিক অবস্থার। সাড়া দিচ্ছিলেন না চিকিৎসায়। রবিবার দুপুর ১২.১৫ তে শেষ হয়ে গেল দীর্ঘ ৬ দশকের দীর্ঘ যাত্রা।

গত শুক্রবার বেলভিউ ক্লিনিকের চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম কর জানিয়েছিলেন তাঁর স্নায়বিক সমস্যা বেড়েছে। তিনি আপাতত ভেন্টিলেশনে আছেন। তাঁর হার্ট-এর অবস্থা ভালো নয়, এবং হার্ট রেট খুবই বেশি। কিডনি সমস্যার কারণে ডায়ালিসিস হয়েছে। অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। যদিও কোনো রক্তক্ষরণ হয়নি।

এর আগে ৮৫ বছরের অভিনেতার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডাঃ অরিন্দম কর জানিয়েছিলেন, "তাঁর শরীরে প্লেটলেটের সংখ‍্যা কেন কমে যাচ্ছে তার কারণ জানার চেষ্টা করছি আমরা। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কিন্তু কখনো কখনো এই সর্বোত্তম প্রচেষ্টাও কারো ক্ষেত্রে যথেষ্ট হয়না।"

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in