"বাংলায় ল এন্ড অর্ডার নেই, যা আছে তা হলো - ডেমোক্রেসির বদলে মমতাক্রেসি" - অধীর রঞ্জন চৌধুরী

অধীর রঞ্জন চৌধুরী
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

মনে রাখবেন চিরদিন আপনি ক্ষমতায় থাকবেন না। 'বদলা নয়, বদল চাই' - বলেছিলেন, ভুলে গেলেন দিদিভাই?? বাংলায় ল এন্ড অর্ডার নেই, যা আছে তা হলো - ডেমোক্রেসির বদলে মমতাক্রেসি, যার আর এক নাম - অটোক্রেসি। রবিবার রাতে টিটাগড়ে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে একথা জানালেন কংগ্রেস সাংসদ এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

ওই বিবৃতিতে অধীর চৌধুরী আরও বলেন - বাংলায় রাজনৈতিক খুন বন্ধ হোক, বিরোধী মানে প্রতিপক্ষ, বিরোধী মানে শত্রু নয়। সারা দেশে সব থেকে বেশি রাজনৈতিক খুন হয় এই বাংলায়। পুলিশের থানার সামনে বিজেপি নেতার খুন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে এবং উঠবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করে ওই বিবৃতিতে অধীর জানান - দিদি আপনি চাইলে খুনী ধরা পড়বে, আপনি না চাইলে অ্যারেস্ট হয়তো কেউ হবে। কিন্তু প্রকৃত খুনী অ্যারেস্ট হবে না। সি.আই.ডি, পুলিশ, কারোর কোনো ক্ষমতা নেই আপনার কথার বাইরে গিয়ে তদন্ত করে। দিদির দালালরা বাজারে নেমে গেছেন 'হ্যাঁ'-কে 'না' করতে। বাংলার পুলিশমন্ত্রী এ বাংলায় রাজনৈতিক খুন ও বিরোধীদের উপর আক্রমণের রাজনীতি বন্ধ হোক।

রবিবার সন্ধেবেলায় টিটাগড় থানার কাছে দুঃসাহসিক দুস্কৃতী হামলায় মৃত্যু হয় সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার। দুষ্কৃতীরা বাইকে চেপে এসে মনীশবাবুকে আজ আচমকা দশ বারো রাউন্ড গুলি চালায়। যাতে পিঠ, বুক সহ শরীরের কয়েকটি জায়গায় গুলি লাগে।

মারাত্মকভাবে আহত হন এই বিজেপি নেতা। ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণের পর জানায় মনীশ শুক্লার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আচমকা এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর বেজায় ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। টিটাগড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে ঘটনাস্থলে নামাতে হয়। সোমবার বারাকপুর অঞ্চলে বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in