শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্য-রাজ্যপালের 'বেআইনি' হস্তক্ষেপ! প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক শিক্ষক সংগঠনের

শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুটা (JUTA)-র অফিসে যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ১৭টি শিক্ষক সংগঠন। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এআইফুকটোর প্রতিবাদ সভা
জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এআইফুকটোর প্রতিবাদ সভাফাইল ছবি, সৌজন্যে নিউজক্লিক

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে রাজভবন ও বিকাশ ভবনের 'দড়ি টানাটানিতে' ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপকরাও। এইভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম উন্নত শিক্ষা পরিকাঠামো থেকে বঞ্চিত হবে। এমনই অভিযোগ ওয়েবকুটা সহ রাজ্যের ১৭ শিক্ষক সংগঠনের। যার প্রতিবাদে আগামী ১ অগাস্ট বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জুটা (JUTA)-র অফিসে যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে ১৭টি শিক্ষক সংগঠন। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগ বন্ধ হয়ে রয়েছে। সেদিকে কেউ নজর দিচ্ছে না। শুধু দেখা যাচ্ছে রাজ্য ও রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত চলছে। শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর যেন রাজভবন ও বিকাশ ভবনের আধিপত্য বজায় রাখার দ্বন্দ্ব চলছে। জরুরী বিষয়গুলির ওপর নজর না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অসহযোগিতা করতে বাধ্য হবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে।

সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই রাজভবন ও বিকাশভবনের সামনে যৌথ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। 'সেভ এডুকেশন, সেভ ইউনিভারসিটি' - এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১ অগাস্ট ১৭টি শিক্ষক সংগঠন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হবে। শুধু এই রাজ্যেই নয়। গোটা ভারতে জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে ১ অগাস্ট প্রতিবাদ দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে সর্বভারতীয় শিক্ষক সংগঠন 'এআইফুকটো'।

শিক্ষক সংগঠনগুলি একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাবে। যার মধ্যে রয়েছে, চার বছরের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য শিক্ষক নিয়োগ সহ বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। নতুন আইনের ভিত্তিতে স্ট্যাটিউট কার্যকর করা। বিভাগীয় প্রধান সহ অন্যান্য কমিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত আইনকে মান্যতা দেওয়া। আইন না থাকলে আইন প্রণয়ন করতে হবে। এছাড়া রয়েছে আইনসম্মত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য ও ডিন নিয়োগ করার দাবি।

সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলা হয়, আচার্য অর্থাৎ রাজ্যের রাজ্যপাল নিজের ইচ্ছামতো প্রাক্তন বিচারপতি, পুলিশকর্তাকে উপাচার্য পদে নিয়োগ করছেন। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক আদর্শ ভেঙে পড়ছে। বিকাশভবনও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত বিভিন্ন আইন লঙ্ঘন করছে। রাজভবন ও বিকাশভবনের পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলির সামনেও বিক্ষোভ দেখাবেন ১৭টি শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা।

জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এআইফুকটোর প্রতিবাদ সভা
দেশের আদালতগুলিতে ৩০ বছর ধরে বিচারের অভাবে ঝুলে রয়েছে ৫ কোটিরও বেশি মামলা: কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী
জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে এআইফুকটোর প্রতিবাদ সভা
Rajasthan Assembly Polls: গেহলট পাইলট বিরোট মেটানো কংগ্রেসের ‘মাস্টারস্ট্রোক’, বলছে সি-ভোটার সমীক্ষা

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in