

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন তোলপাড় দেশ, সেইসময়ই এক অদ্ভুত খবর এসেছে সামনে। জানা গিয়েছে, যোগীরাজ্যে একাধিক গোশালাতে থার্মাল স্ক্রিনিং, অক্সিমিটারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গোরুরা যাতে সংক্রমণ মুক্ত থাকে, সেই লক্ষ্যে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে হেল্প ডেস্ক তৈরির নির্দেশও দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
যেখানে অক্সিজেনের অভাবে প্রতিনিয়ত একাধিক করোনা রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, সেখানে গোরুদের সুরক্ষায় রাজ্য সরকারের এই তৎপরতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। এই পরিস্থিতিতে যোগী সরকারের তরফেই সাফাই দিয়ে জানানো হল, গোবলয়গুলিতে থার্মাল স্ক্রিনিং ও অক্সিমিটারের ব্যবস্থা করতে বলা হলেও তা গোরুদের জন্য নয়, বরং সেখানে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্যই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। এই বিষয়ে অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (তথ্য বিভাগ) নবনীত সেহগাল জানান, এইধরনের কোনও অর্ডার দেওয়া হয়নি। গোরুদের থার্মাল স্ক্রিনিং ও অক্সিমিটার ব্যবহারের কোনও নির্দেশ দেয়নি উত্তর প্রদেশ সরকার। বরং গোশালাগুলিতে এই ধরনের হেল্প ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে যাতে কর্মীরা করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকেন। বর্তমানে, ৫ হাজার ২৬৮টি গোরুদের সুরক্ষা সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৭ টি গোশালা রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন