

লাগাতার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা ভারতজুড়ে যৌথভাবে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনগুলি। আগামী ২৬-২৮ নভেম্বরের মধ্যে এই কর্মসূচি পালিত হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর এই দু'দিন কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে। ২৮ নভেম্বর রাজভবন অভিযানে নামবেন শ্রমিক ও কৃষকরা।
ভারতবর্ষের ইতিহাসে শ্রমিক আন্দোলন বা কৃষক আন্দোলন প্রথম নয়। আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতির প্রতিবাদে পথে নামতে চলেছেন ভারতের শ্রমিক-কৃষক সংগঠনগুলি। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন এবং সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফ থেকে বলা হয়েছে, দশ বছর হতে চললো কেন্দ্রে বিজেপি সরকার চলছে। কিন্তু এই দশ বছরে ব্যাপকভাবে ওষুধ, খাদ্যশস্য, জ্বালানির দাম যে হারে বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন চালানোই দায়। তাছাড়া মোদী সরকার ধীরে ধীরে বেসরকারিকরণের দিকে এগোচ্ছে। এইভাবে চলতে থাকলে একদিন কৃষকের নিজের জমিতেই চাষ করতে পারবেনা না। বেকারত্ব বাড়ছে তাও সরকার চুপ।
তাদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, এর আগে রাজধানীতে কৃষক আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে গোট দেশ। যার ফলে কেন্দ্রের সরকার বাধ্য হয়েছিল কৃষকদের দাবি মেনে নিতে। সেই সময় কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি। সরকারের ভুল নীতির কারণে দেশে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। ১০০ দিনের কাজে ঠিক করে টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। ন্যূনতম ২০০ দিনের কাজ এবং ৬০০ টাকা মজুরি নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। সবকিছুর বিরুদ্ধে এই মাসের শেষে শ্রমিক-কৃষকরা যৌথ ভাবে আবারও পথে নামতে চলেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন