দেশজুড়ে লোকসানে চলছে BSNL (ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড)। শুরু থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ নাগাদ মোট নেট লোকসানের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, একই পথে রয়েছে MTNL (মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড)। এই সংস্থার মোট নেট লোকসানের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। শনিবার, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এমনই দাবি করেছে মোদী সরকার।
BSNL ও MTNL-এ এই লোকসান সম্পর্কে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রক জানিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে কর্মচারীদের উচ্চ বেতনে খরচ, ঋণের অতিরিক্ত বোঝা, বাজারে কঠোর প্রতিযোগিতা এবং ফোর-জি (4G) পরিষেবার অভাবের কারণে এটি ঘটেছে।
রাজ্যসভায় এক লিখিত উত্তরে কেন্দ্র জানিয়েছে, BSNL এবং MTNL-এর পুনরুজ্জীবনে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর, একটি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। যেখানে স্বেচ্ছাসেবী অবসর স্কিম (VRS)- এর মাধ্যমে কর্মচারী ব্যয় কমানো, বন্ডের মাধ্যমে ঋণের পুনর্গঠন, 4G পরিষেবার জন্য স্পেকট্রামের বরাদ্দ বৃদ্ধি, এবং BSNL ও MTNL-এর একীভূতকরণের নীতিগত অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যার ফলে, কিছুটা লাভবান হয়েছে BSNL ও MTNL। ২০২০-২১ আর্থিক বছর থেকে EBITDA (Earnings Before Interest, Taxes, Depreciation, and amortization) ইতিবাচক হয়ে উঠেছে। এইগুলির ফলস্বরূপ, BSNL এবং MTNL আর্থিক বছর 2020-21 থেকে EBITDA (সুদ, কর, অবচয় এবং পরিশোধের আগে আয়) ইতিবাচক হয়ে উঠেছে।
এছাড়া, BSNL-কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই, ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার একটি পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ অনুমোদন করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্র জানিয়েছে, BSNL এর পরিষেবাগুলিকে উন্নত করে নতুন পুঁজি বৃদ্ধি করা, ভারত ব্রডব্যান্ড নিগম লিমিটেড (BBNL)-কে BSNL-এর সাথে একীভূত করা, এবং এর মাধ্যমে ফাইবার নেটওয়ার্কের সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এই ব্যবস্থাগুলি বাস্তবায়নের সাথে সাথে BSNL ঘুরে দাঁড়াবে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে।
কেন্দ্রের যোগাযোগ মন্ত্রক জানিয়েছে, টেলিকম পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং টেলিকম পরিষেবা সম্প্রসারণে বেসরকারী টেলিকম সংস্থাগুলির সাথে BSNL ও MTNL গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত এলাকায়। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ, BSNL সারাদেশে ২৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮২৭ টি FTTH (Fiber to Home) কানেকশন দিয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন