Haryana: দলীয় নেতার বিরুদ্ধে কথা বললে চোখ উপড়ে হাত কেটে দেব - বিরোধী-কৃষকদের হুমকি BJP সাংসদের

প্রকাশ‍্য জনসভায় যখন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে এই ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দেন রোহতকের বিজেপি সাংসদ অরবিন্দ শর্মা, তখন উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। হাততালির জোরালো শব্দে ভরে উঠে সভাস্থল।
অরবিন্দ শর্মার সঙ্গে অমিত শাহ এবং মনোহর লাল খট্টার
অরবিন্দ শর্মার সঙ্গে অমিত শাহ এবং মনোহর লাল খট্টারফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

দলীয় নেতা মণীশ গ্রোভারের বিরুদ্ধে কথা বললে বিরোধীদের চোখ তুলে নেওয়ার, হাত কেটে দেওয়ার হুমকি দিলেন হরিয়ানার বিজেপি সাংসদ অরবিন্দ শর্মা। মূলত কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রোহতকের একটি মন্দিরের ভেতর কৃষকদের দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ গ্রোভার। অবশেষে কৃষকদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার পর মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার একটি সভা করে বিজেপি। বিজেপির দাবি শুক্রবারের ঘটনার জন্য কংগ্রেসই দায়ী।

প্রকাশ‍্য জনসভায় যখন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে এই ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি দেন রোহতকের বিজেপি সাংসদ অরবিন্দ শর্মা, তখন উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা। হাততালির জোরালো শব্দে ভরে উঠে সভাস্থল।

রাজ‍্যের কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দর হুডা এবং তাঁর ছেলে দীপেন্দর হুডাকে আক্রমণ করে অরবিন্দ শর্মা বলেন, দীপেন্দর হুডা লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তাই ইচ্ছাকৃতভাবে মণীশ গ্রোভারকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অরবিন্দ শর্মা বলেন, "যদি মণীশ গ্রোভারের বিরুদ্ধে কেউ চোখ তুলে কথা বলেন, তাহলে সেই চোখ উপড়ে নেওয়া হবে। যদি কোনো হাত তোলা হয় তাহলে সেই হাতও কেটে ফেলা হবে। আমরা কাউকে রেহাই দেব না।"

প্রসঙ্গত, শুক্রবার মণীশ গ্রোভার সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে মন্দিরের ভেতর আটকে রেখেছিলেন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, মণীশ গ্রোভার তাঁদের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন। বিজেপি নেতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা।

অরবিন্দ শর্মার সঙ্গে অমিত শাহ এবং মনোহর লাল খট্টার
Haryana: ৮ ঘণ্টা মন্দিরে অবরুদ্ধ - কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পেলেন বিজেপি নেতা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in