পাটনায় নীতীশের বিরোধী বৈঠকে TMC কেন? আমন্ত্রণের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন বাম-কংগ্রেসের

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) জানান, বিরোধী জোটের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস অংশ নিলেও, রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা চালিয়ে যাবে কংগ্রস।
নীতিশ কুমার
নীতিশ কুমার ফাইল ছবি, দ্য প্রিন্ট-এর সৌজন্যে

আগামী ১২ জুন (সোমবার), পাটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) ডাকে জরুরী বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি। আর, এই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) জানান, বিরোধী জোটের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস অংশ নিলেও, রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা চালিয়ে যাবে কংগ্রস।

তিনি বলেন, ‘পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে কংগ্রেস অংশ নেবে। কিন্তু বাংলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই থাকবে। যেমন চলছিল তেমনই চলবে। তাই চোরকে আমরা চোরই বলব।’ একইসঙ্গে, তিনি জানান, ‘আসলে বিরোধী জোটে ফাটল তৈরির জন্য বিজেপির দাবার গুটি হল তৃণমূল।

সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এই প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করার উদ্যোগ ভলো। তবে প্রশ্ন হল, সেই উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা তৃণমূল কংগ্রেসের আছে কিনা।

তিনি বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সাহায্য করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সঙ্কটের সময় সবসময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গোপন সমর্থন জুগিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।’

সিপিআই(এম) রাজ্যসভার সদস্য এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikas Ranjan Bhattacharya) বলেন, এক মহা বিরোধী জোটের প্রয়োজনীয়তা আছে। তবে, এই ক্ষেত্রে সেই রাজনৈতিক শক্তিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, যারা বিজেপির বিরোধিতা করার ক্ষেত্রে আন্তরিক।’

তিনি জানান, ‘বিরোধী জোটের মধ্যে (ফাটল ধরাতে) বিজেপি সর্বদা ‘হর্স ইমপ্লান্ট’ (সহযোগী যোদ্ধা) ঢোকানোর চেষ্টা করে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, এই প্রক্রিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে অন্তর্ভুক্ত করা কোনও কাঙ্খিত পদক্ষেপ হবে না। বরং, পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের বোঝাপড়ার মডেল জাতীয় স্তরে অনুসরণ করা উচিত।’

অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ ডা. শান্তনু সেন (Santanu Sen) বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখন বিরোধী দলের নেত্রী হিসাবে চিহ্নিত করেছে সারাদেশ, তখন পশ্চিমবঙ্গের সিপিআই(এম) ও কংগ্রেস নেতারা কি বলেছে তা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in