Wholesale Price Index: ডিসেম্বরের পাইকারি মূল্য সূচকে গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি

People's Reporter: পরিসংখ্যান অনুসারে পাইকারি বাজারে খাদ্যের দাম ৯.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে জ্বালানীর ক্ষেত্রে ২.১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকীফাইল ছবি সংগৃহীত

পাইকারি মূল্য সূচকের (Wholesale Price Index - WPI) উপর ভিত্তি করে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হার নভেম্বরে ০.২৬ থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নয় মাসের সর্বোচ্চ ০.৭৩ শতাংশে পৌঁছেছে। সোমবার প্রকাশিত সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে এই তথ্য সামনে এসেছে।

দেশের WPI-ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি গত সাত মাস নেতিবাচক থাকার পর নভেম্বরে ইতিবাচকে পরিণত হয়। পরিসংখ্যান অনুসারে পাইকারি খাদ্যের দাম ৯.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে জ্বালানীর ক্ষেত্রে ২.১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির ইতিবাচক হার প্রাথমিকভাবে খাদ্য সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, অন্যান্য উত্পাদন, অন্যান্য পরিবহন সরঞ্জাম এবং কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স এবং অপটিক্যাল পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে ঘটেছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এই মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত খুচরা মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান অনুসারে ডিসেম্বরে ৫.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নভেম্বরে ছিল ৫.৫৫ শতাংশ।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি, যা সামগ্রিক ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) অর্ধেকের কাছাকাছি, নভেম্বরে ৮.৬৫৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ডিসেম্বরে হয়েছে ৯.০৫ শতাংশ। এই মাসে সবজি, ডাল, মসলা ও ফলের দাম বেড়েছে। তবে মাসজুড়ে রান্নার তেলের দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া গেছে।

খুচরা মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যানের উপর আরবিআই-এর আর্থিক নীতি নির্ভর করে।

সুমন চৌধুরী, চিফ ইকোনমিস্ট এবং হেড – রিসার্চ, অ্যাকুইট রেটিং অ্যান্ড রিসার্চ জানিয়েছেন, “প্রত্যাশিত ভাবেই, ডব্লিউপিআই ট্র্যাজেক্টরি ডিসেম্বর-২৩-এ ০.৭৩ শতাংশে ভারসাম্য বজায় রেখেছে, যা নভেম্বর-২৩-এ ০.২৬ শতাংশ ছিল৷

তিনি আরও বলেন, “উৎপাদিত পণ্যের পাইকারি মূল্যস্ফীতি গত বছরের এই সময় এবং গত বছরের এই মাসের তুলনায় -০.৭ শতাংশ এবং – ০.২ শতাংশে রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে দশম মাসে যে উৎপাদন মুদ্রাস্ফীতি নেতিবাচক দিকে রয়ে গেছে। জ্বালানী এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে বিশ্ববাজারের চাহিদার না থাকার কারণে ইনপুট খরচ শিল্প বিভাগের জন্য অনুকূল থাকবে।

চৌধুরী আরও বলেন, "আগামীতে, উৎপাদিত পণ্যে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সামগ্রিক WPI মুদ্রাস্ফীতি খাদ্যদ্রব্যের প্রবণতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং তা ০ থেকে (-)১.০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত।

ছবি - প্রতীকী
নিখোঁজ হয়েছিল আন্দামানে, সাড়ে ৭ বছর পরে বঙ্গোপসাগরে খোঁজ মিলল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের
ছবি - প্রতীকী
সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ১১ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা, কবে খুলবে জট?

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in