
পেট্রোল-ডিজেল থেকে আদায় করা বিপুল পরিমাণ কর দেশের আর্থিক সংস্কারের কাজে লাগানো হবে। মোদি সরকার এমনটা বললেও কার্যক্ষেত্রে তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। সেই অর্থ দেশে বিনিয়োগ হয়নি। সরকারি নথিতে এই ধরনের অর্থ বরাদ্দের কোনও হিসেবের দেখা নেই। যদিও দেশে উন্নয়নের নামে পেট্রোল-ডিজেলে কর চাপিয়ে যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে, সে হারে দেশে বিনিয়োগ বাড়েনি। কার্যত কমেছে। উন্নয়নের কোনও হিসাব সরকারি নথিতে নেই।
২০২০-২১ সালের পেট্রোল ডিজেলের কর বাবদ আয় তিনশো শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও, সেই হারে বরাদ্দ বাড়েনি পরিকাঠামো ও শিল্পের বিনিয়োগে। তা ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এই বিপুল পরিমাণ আদায়কৃত করের টাকা কোথায় বিনিয়োগ হচ্ছে। প্রচুর কর আদায় সত্ত্বেও বিনিয়োগ কেন তলানিতে ঠেকেছে।
পেট্রোল-ডিজেলে বিপুল পরিমাণ কর চাপিয়ে মানুষের অর্থ লুট হচ্ছে। এমনটাই তোপ দাগলেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। বলেন, মোদি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত পেট্রোলের উৎপাদন শুল্ক বেড়েছে ২১৭ শতাংশ আর ডিজেলের ৬০৭ শতাংশ। গড় বৃদ্ধির হার হবে ৩০০ শতাংশেরও বেশি। এই আয়ের ভাগ রাজ্যকে দিতে হয় না। তাতে কেন্দ্রের আয় হয়েছে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু সেই টাকা পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ করা হয়নি। তাহলে কোথায় গেল?
এদিকে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী থেকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর বক্তব্য, দেশের পরিকাঠামো ও শিল্পে এই অর্থ বিনিয়োগ করা হবে। তাতে দেশের উন্নতি হবে। কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু বাস্তবে পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়নি। চাকরি হয়নি। কর্মসংস্থান হয়নি। প্রকল্প সব ধুঁকছে। বিনিয়োগ নেই, কোনও উন্নয়ন নেই। মোদি সরকার ক্ষমতায় এসে ৭৪০০টি পরিকাঠামোর প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। যাতে ১৫ লক্ষ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু কিছুই হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন