

কোভিড মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্র সরকারকে তুলোধনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, গত ১৪ মাস ধরে কেন্দ্র কী করছিল? বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজন ছিল বিশেষজ্ঞর মতামত।
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আর শংকরনারায়ণন জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়াটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। এর উত্তরে বিচারপতি বলেন, এক বছর ধরে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে হঠাৎ করে এপ্রিল মাসে অতি সক্রিয়তা দেখানো শুরু হল কেন? পাশাপাশি ভ্যাকসিনের দাম নিয়েও এদিন বিচারপতিকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে। এমনকী, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ার সময় সংশ্লিষ্ট অ্যাপের বসে যাওয়ার ভর্ৎসনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রেমডিসিভির, অক্সিজেন, হাসপাতালে বেডের অভাব সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এক মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সেন্থিলকুমার এদিন কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করেন।
সংক্রমণে রাশ টানতে এর আগে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি সরকার ১ ও ২ মে সম্পূর্ণ লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তামিলনাড়ু জানিয়েছে, রাজ্যে ভোট গণনার আগের দিন অর্থাৎ শনিবার লকডাউনের প্রয়োজন নেই। মে দিবস হিসেবে দিনটি এমনিতেই ছুটির। তারপর আর লকডাউনের প্রয়োজন নেই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন