মহামারীতেও ১৮০৮ শতাংশেরও বেশি সম্পদ বৃদ্ধি, মুকেশ আম্বানিকে পিছনে ফেললেন গৌতম আদানি

কোভিড পরিস্থিতিতে থেকেই আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। ওই বছর ১৮ মার্চ আদানির সম্পত্তির নেট মূল্য ছিল ৪.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০ মাসের মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গৌতম আদানি ও নরেন্দ্র মোদী
গৌতম আদানি ও নরেন্দ্র মোদী ফাইল ছবি- সংগৃহীত
Published on

মুকেশ অম্বানিকে ছাড়িয়ে গেলেন গৌতম আদানি। এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হলেন তিনি। একলাফে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স থেকে। সেই ইনডেক্স অনুসারে, গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৮.৫ বিলিয়ন। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম সম্পদ অর্জনকারীর হিসাবে তিনি আছেন এক নম্বরে।

জানা গিয়েছে, গৌতম আদানি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, বিমানবন্দর, ডেটা সেন্টার ও প্রতিরক্ষা চুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। মুম্বই-ভিত্তিক ব্রোকারেজ এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের রিটেল রিসার্চের প্রধান দীপক জাসানির কথায়, 'আদানি গ্রুপ সঠিক সময়ে বিভিন্ন সেক্টরে প্রবেশ করেছে। এতে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।'

গৌতম আদানি ও নরেন্দ্র মোদী
করোনা সঙ্কটেও আরও ধনী মুকেশ আম্বানি, বিশ্ব ধনী তালিকায় উঠে এলেন পাঁচ নম্বরে

আদানি গ্রুপের বেশ কয়েকটি তালিকাভুক্ত স্টক ৬০০ শতাংশ বেড়েছে গত দুই বছরে। ওয়াকিবহাল মনে করছে, গ্রিন পাওয়ার ও পরিকাঠামোতে এই বৃদ্ধির প্রতিফলন। কোভিড পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকেই আদানির সম্পত্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। ওই বছর ১৮ মার্চ আদানির সম্পত্তির নেট মূল্য ছিল ৪.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০ মাসের মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের তুলনায় ১৮০৮ শতাংশেরও বেশি।

কিন্তু অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন মুকেশ অম্বানি। তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে মাত্র ২৫০ শতাংশ। এদিকে, রিলায়েন্স-আরামকো চুক্তি বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফলে সমস্যা বেড়েছে অম্বানিদের। তাই আর্থিক লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। এক ও দুইয়ে রয়েছেন আদানি ও আম্বানি। তিন থেকে পাঁচে আছেন শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণান দামানি এবং লক্ষ্মী মিত্তল।

গৌতম আদানি ও নরেন্দ্র মোদী
World Inequality Report: আর্থিক সংস্কারে ফায়দা হয়েছে শুধু ধনীদের - ভারত এখন 'চরম অসাম্যের দেশ'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in