
মধ্যপ্রদেশে ‘পেশাদার পরীক্ষা বোর্ড’ বা ব্যাপম কেলেঙ্কারির তদন্তকে কেন্দ্র করে আবার রাজনৈতিক উত্তেজনা ছাড়ানোর আশংকা দেখা দিয়েছে। কারণ, এই তদন্তে বিজেপির অনেক নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে।
গত এক দশক ধরে লাইমলাইটে রয়েছে ব্যাপম কেলেঙ্কারি। এই কাণ্ডে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জেলে গিয়েছেন ২০০০ জনের অধিক মানুষ।
এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)।
এই কান্ডে CBI ও STF-র স্ক্যানারে এসেছেন কংগ্রেস, বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) একাধিক নেতা। জেলে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত শর্মা এবং আরএসএস-এর দুই পদাধিকারীর সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা।
গত ২০১৪ সালের ৬ অক্টোবর, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য দিগ্বিজয় সিংয়ের এক অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া আট ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে STF। তবে, এই মামলা দায়ের করতে STF-এর কেন ৮ বছর সময় লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
দিগ্বিজয় সিং অভিযোগে বলেছিলেন, ২০০৬ সালের পরে মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেতে ব্যাপম পরীক্ষার কর্তাব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী ও সিনিয়র বিজেপি নেতারা।
অভিযোগে তিনি দাবি করেন, বিজেপি নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসাজশে এই কেলেঙ্কারি সংঘটিত হয়েছে।
সিংয়ের অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছু ছাত্রের ভুয়ো আবাসিক ঠিকানা মিলেছে। ছাত্রদের আবাসিক ঠিকানা অভিন্ন হওয়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ বোর্ড থেকে ১০ (দশম) এবং ১২ (দাদ্বশ) শ্রেণী পাস করা ছাত্রদের মধ্যপ্রদেশের আবাসিক ঠিকানার শংসাপত্র সন্দেহজনক।
একইসঙ্গে, পরীক্ষার ফর্মের সাথে লাগানো ছবিতে এবং আসন বন্টনের সময় লাগানো ছবিতেও পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে বলে জানা গেছে।
তদন্তে জানা গেছে যে, ২০০৮-০৯ সালের পরীক্ষায় নিজেদের নামে কিছু ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে বসিয়েছিল অভিযুক্ত ছাত্ররা। তারপর, তাঁদের (ভুয়ো পরীক্ষার্থী) মাধ্যমে অভিযুক্তরা ভোপালের গান্ধী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিল।
অনুমান করা হচ্ছে, আরও অনেক বিজেপি নেতা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামও তদন্তে উঠে আসবে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন