Pinarai Vijayan: ‘আমার জনজীবন স্বচ্ছ’, সোনা পাচার কাণ্ডের অভিযোগ উড়িয়ে 'সাফ কথা' বিজয়নের

এক সাংবাদিক কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন তিনি মানহানিকর বিবৃতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।‘ দীপ্ত কন্ঠে বিজয়ন জানান, ‘এটা আমি সিদ্ধান্ত নেব।’
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নছবি সংগৃহীত

সোনা পাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতা পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। সোমবার, তিনি দাবি জানান, ‘তাঁর জনজীবন স্বচ্ছ।’

সম্প্রতি তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে সোনা ভর্তি ব্যাগ ধরা পড়ার পরেই সামনে এসেছে পাচার কাণ্ড। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ দাবি করেন, ‘সোনা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন, তাঁর স্ত্রী কমলা, মেয়ে বীণা, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সচিব এম শিবশঙ্কর, এবং প্রাক্তন মন্ত্রী কে টি জলিল সুবিধা পেয়েছেন।‘ তবে, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা গুরুতর অভিযোগের পর এই প্রথম মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ‘তাঁর জনজীবন স্বচ্ছ।‘

এক সাংবাদিক কেরালার মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেন তিনি মানহানিকর বিবৃতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।‘ দীপ্ত কন্ঠে বিজয়ন জানান, ‘এটা আমি সিদ্ধান্ত নেব।’

তারপরে তিনি বলেন, ‘এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়, আগেও এই সমস্ত অভিযোগ উঠেছিল। তবে ২০২১ সালের এপ্রিলে বিধানসভা নির্বাচনে জনগণ তাদেরই ৯৯ টি আসনে জিতিয়ে এনেছে।’

২০২০ সালের জুলাই মাসে সোনা পাচার কাণ্ডের প্রথম মামলা সামনে আসে। এ নিয়ে বিজয়ন সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালায় কংগ্রেসসহ বিরোধী শিবির। যদিও এই প্রচার জনমানসে কোনও প্রভাব ফেলেনি। গত ডিসেম্বর মাসের স্থানীয় (ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত, পুরসভা এবং কর্পোরেশন) নির্বাচনে ভালো ফলাফল করে পিনারাই-এর নেতৃত্বাধীন এলডিএফ। একইসঙ্গে, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ১৪০ টি আসনের মধ্যে ৯৯ টি আসনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাম জোট (LDF)।

পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজয়ন বলেন, ‘দেখুন, এই প্রচারের পরেও জনগণ বিরোধী শিবিরকে উড়িয়ে দিয়েছে। যারা এই অভিযোগের পিছনে রয়েছে তারা মনে করেছিল, বিজয়ন, CPIM এবং বামদের ধাক্কা দেবে। কিন্তু, মানুষ জানে, আমাদের সবকিছুই খোলা (Open Book)।’

তিনি আরও বলেন, এই অভিযোগগুলি যখন প্রথম সামনে আসে, তখন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি উঠে পড়ে লেগেছিল। কিন্তু তদন্ত করে কিছুই পায়নি।

স্বপ্নার নয়া অভিযোগ ছিল, ‘২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন যখন আরব আমিরশাহি সফরে ছিলেন, সেই সময়ে দুবাইয়ের দূতাবাসের মাধ্যমে টাকার ব্যাগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছিল। আর বিরিয়ানির কৌটোতে ভরে সোনা পাঠানো হয়েছিল তিরুঅনন্তপুরমে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে!’ এ নিয়ে বিজয়ন বলেন, ‘আমি এটি প্রথমবার শুনছি।’

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in