

ভুয়ো জব কার্ডের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। বুধবার লোকসভায় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি লিখিতভাবে যে তথ্য প্রকাশ করেন, তাতেই দেখানো হয়েছে একশো দিনের কাজ ভুয়ো জব কার্ডের নিরিখে যোগী রাজ্যই প্রথম। এই তথ্য সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয় লোকসভায়, যেখানে মেজাজ হারাতে দেখা যায় জ্যোতিকে।
মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ দেব লোকসভায় ভুয়ো জব কার্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর প্রশ্নের ভিত্তিতে লিখিত তথ্য পেশ করেন জ্যোতি। সেই তথ্যে দেখা গিয়েছে একশো দিনের কাজে ভুয়ো জব কার্ডের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-’২২ এবং ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে সারা দেশে ভুয়ো জবকার্ড বাতিল হয়েছে মোট ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ৪০১টি। তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশে বাতিল হয়েছে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪০১টি। তারপরেই রয়েছে ওড়িশা, ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৫০টি। এর পর যথাক্রমে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং বিহার। দু’টি রাজ্যেই দু’বছরে এক লক্ষের বেশি ভুয়ো জব কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এই তালিকায় অনেক নীচে রয়েছে বাংলা। বাংলায় ভুয়ো জব কার্ড বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৬৫১টি।
সাধ্বী নিরঞ্জন জানিয়েছেন, ‘‘ভুয়ো কার্ড বাতিল করা এবং আপডেট করা একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। রাজ্যগুলি সেই অনুশীলন চালাচ্ছে। ভুয়ো কার্ড রুখতেই আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’’
তবে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই বিজেপিকে আক্রমণ করতে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘বাংলাকে নিয়ে যে কুৎসা রটানো হচ্ছে অবিলম্বে তা বন্ধ হোক।’’
বুধবার সাংসদ চত্বরে ভুয়ো জব কার্ড প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মেজাজ হারান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। প্রথমে তিনি জানান, ‘উত্তরপ্রদেশের সব ভালো’। এরপর, উত্তরপ্রদেশের নাম শীর্ষে এসেছে মনে করিয়ে দিতেই খানিক বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে জানান, ‘আমি সব পাল্টে দেব’।
উল্লেখ্য, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি নিজেই উত্তরপ্রদেশের মানুষ। তিনি উত্তরপ্রদেশের ফতেফপুর লোকসভার সাংসদ। তাঁর হুঙ্কারকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, উনি হয়তো জানেন না, একবার লোকসভায় কোনও তথ্য পেশ করা হলে, তা লোকসভার সম্পত্তি হয়ে যায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন