সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম নয়, রাম রাজ্য প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার শেষ অধিবেশন ছিল। এদিন দ্বিতীয় অতিরিক্ত বাজেট পেশ করা হয়। সেখানেই এমন বিবৃতি দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি দেশের বিরোধী দলগুলোর ওপর আক্রমণ শানান।
তাঁর মতে, দেশের 'সবচেয়ে বড় কুসংস্কার' সমাজতন্ত্র। তিনি বলেন, 'এতে পারিবারিক সমাজতন্ত্র, মাফিয়া সমাজতন্ত্র, নৈরাজ্যবাদী সমাজতন্ত্র, দাঙ্গা সমাজতন্ত্র ও সন্ত্রাসবাদী সমাজতন্ত্র- অনেকগুলি প্রতারিত ব্র্যান্ড রয়েছে।'
রাম রাজ্য সম্পর্কে তাঁর ধারণা ব্যাখ্যা করতে যোগী বলেছেন, 'আমরা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছি যে, এই দেশে কমিউনিজম বা সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন নেই। দেশ আর উত্তরপ্রদেশ শুধু রাম রাজ্য চায়।' তাঁর কথায়, রাম রাজ্য মানে চিরন্তন, সর্বজনীন এবং শাশ্বত। যা পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সমাজতন্ত্রের আসল মূল্যবোধগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপলব্ধি করেছিলেন। মানুষের জন্য শৌচালয় তৈরি করেন। 'স্বচ্ছ ভারত অভিযান' ' এবং 'উজ্জ্বলা যোজনা'-র উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'লোহিয়া বলেছিলেন যে, দেশের কোনও শক্তি এই সরকারকে সরাতে পারবে না, যে সরকার দরিদ্রদের জন্য শৌচাগার তৈরি করে। প্রত্যেকের ঘরে উনুন জ্বালানোর ব্যবস্থা রাখে।'
আগামী বছরের শুরুতে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে ক্ষমতায় এলেও তারপর বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে ফলাফল খুব বেশি আশাজনক নয়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে আগামী বিধানসভা নির্বাচনগুলিকে ট্রায়াল ম্যাচ হিসেবে ধরা যেতে পারে।
রাজ্যের ফলাফলের ভিত্তিতে চব্বিশের ফলাফল অনেকটাই বোঝা যাবে বলে মনে করে দেশীয় রাজনৈতিক মহল। উত্তরপ্রদেশের প্রচারে শুরু থেকেই বিজেপির হাতিয়ার রাম ইস্যু। মোদি এবং যোগী দুজনেই একই পথের পথিক। যোগী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।