ফের স্বঘোষিত গোরক্ষকের তান্ডব উত্তরপ্রদেশে। মাংস পরিবহন ও বিক্রয়ের ব্যবসা করা এক মুসলিম ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারলো কিছু স্বঘোষিত গোরক্ষক। শুধু তাই নয়, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতিতকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মোরাদাবাদ জেলার কাটঘর থানার একটি গ্রামে রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতিতের নাম মহম্মদ শাকির। মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পাঁচ-ছ'জন ব্যক্তি শাকিরকে ঘিরে রেখেছে। এঁদের মধ্যে একজনের হাতে বড় মোটা একটি লাঠি রয়েছে। মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ওই লাঠি দিয়ে শাকিরকে মারতে থাকেন তিনি। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে শাকিরকে কয়েকজন ধরে রেখেছেন এবং লাঠি হাতে থাকা লোকটির সামনে বারবার অনুরোধ করছেন শাকির তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম মনোজ ঠাকুর।
পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগে শাকিরের ভাই জানিয়েছেন, স্কুটারে করে ৫০ কেজি মহিষের মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় মনোজ ঠাকুর ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁর ভাইয়ের পথ আটকান। পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ করার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চান এবং তাঁকে মারধর করেন।
গোরক্ষকরা পাল্টা শাকিরের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে পশুহত্যা, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন কাজ করা, কোভিড লকডাউন গাইডলাইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এক পুলিশ অফিসার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে শাকিরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। অপরদিকে শাকিরের ভাইয়ের অভিযোগ ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করেছে মোরাদাবাদ পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত মনোজ ঠাকুর সহ দু'জন পলাতক।
এরই মাঝে কোনো এক অজ্ঞাত জায়গা থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন মনোজ ঠাকুর, যা সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। যেখানে গো হত্যা নিয়ে র্যাকেট চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এর সাথে পুলিশও যুক্ত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রশাসনের কাছে তিনি একটি পুলিশ টিম চেয়েছেন এই র্যাকেটের পর্দা ফাঁস করতে তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।