উত্তরপ্রদেশের ছোটো শহর এবং গ্রামে পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাই এখন ‘রাম ভরোসে’। এক সুয়ো মুটো মামলায় বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভার্মা এবং বিচারপতি অজিত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই ভাষাতেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে তিরস্কৃত হল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সোমবার এই সুয়ো মুটো মামলার শুনানি হয়।
মীরাট জেলা হাসপাতাল থেকে এক কোভিড রোগীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে এক মামলায় এদিন এই বক্তব্য জানান বিচারপতিরা। এর আগেই আদালত এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিলো। এদিন আদালতে সমস্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পর দেখা যায় শুধুমাত্র কর্তব্যে গাফিলতির জন্যই এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে – এক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। যেখানে সেই রোগীকে দেখাশোনার জন্য চিকিৎসা কর্মী এবং চিকিৎসকদের দায়িত্ব ছিলো। কিন্তু যদি তাঁরা এই ধরণের অসতর্ক আচরণ করেন তাহলে এই কাজকে কর্তব্যে গাফিলতি হিসেবেই দেখা উচিৎ। এতেই বোঝা যায় সাধারণ মানুষের জীবন কী অবস্থায় আছে।
আদালত এদিন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে জানিয়েছে, অবিলম্বে এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এই বিষয়ে আদালতের কাছে এক সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত ৬৪ বছর বয়স্ক সন্তোষ কুমার গত ২২ এপ্রিল মীরাট জেলা হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। এই বিষয়ে তিন সদস্যের এক কমিটি তদন্ত শুরু করে। জানা যায় ২১ এপ্রিল ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেদিন রাতে বাথরুমে গিয়ে তিনি সংজ্ঞা হারান। এই অবস্থাতেই তাঁকে স্ট্রেচারে করে বেডে নিয়ে আসা হয়। তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। যদিও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। পরের দিন সকাল ৮টায় চিকিৎসকদের ডিউটি চেঞ্জ হয়। এর পরেই দেখা যায় ওই ব্যক্তি আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।